এমএইচভিদের উঠান বৈঠক সম্পর্কে আলোচনা

এমএইচভির কন্ঠস্বর

এমএইচভিরা উঠান বৈঠকের মাধ্যমে তার নিজ কর্ম এলাকার মানুষদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। আর এই উঠান বৈঠক কিভাবে করতে হয় সেই সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

উঠান বৈঠকঃ
খানার সদস্যদের গুচ্ছ আকারে বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক সতর্কতা, স্বাস্থ্যশিক্ষা, স্বাস্থ্যবার্তা ইতাদি প্রচার করার জন্য এবং তদোপায়ে স্বাস্থ্য বিষয়ক অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য উঠান বৈঠক আয়ােজন করা হয়ে থাকে।

উঠান বৈঠকের পদ্ধতিঃ
১. সাধারণত ৪০-৫০ টি খানার সদস্যদের একত্র করে একটি বাড়ির প্রাঙ্গনে উঠান বৈঠকের আয়ােজন করা হয়।
২. উঠান বৈঠকে এক বা একাধিক বিষয়ে আলােচনা হতে পারে। তবে একাধিক বিষয়ে আলােচনা হলে বৈঠকের উদ্দেশ্য ব্যাহত হতে পারে।
৩. উঠান বৈঠকের মাধ্যমে প্রয়ােজনীয় ব্যবহারিক জ্ঞান ও পদ্ধতি শিক্ষণের মাধ্যমে খানা সদস্যদের অভ্যাসগত পরিবর্তন করা সম্ভব।

উঠান বৈঠক কারা করবেনঃ
১. স্বাস্থ্য বিভাগীয় কর্মচারীদের মধ্য স্বাস্থ্যসহকারী, সহকারী স্বাস্থ্যপরিদর্শক, স্বাস্থ্য-পরিদর্শকগণ উঠান বৈঠক করে থাকেন।
২. এমএইচভিগণ তাঁদের নির্দিষ্ট কাজের ভিত্তিতে উঠান বৈঠক আয়ােজন করবেন।
৩. উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা উঠান বৈঠক পরিদর্শন ও এর মান নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

উঠান বৈঠকের প্রয়ােজনীয় উপকরণঃ
১. যে বিষয়ে উঠান বৈঠক হবে তার উপর সংশ্লিষ্ট এমএইচভির সম্যক ধারণা ও প্রস্তুতি।
২. বিষয় ভিত্তিক ফ্লিপ চার্ট, পােস্টার, ফেস্টুন ব্যানার ইত্যাদি প্রস্তুতকরণ ও প্রদর্শন।
৩. বিষয়ভিত্তিক অডিও বা ভিডিও বার্তা প্রচার অথবা নাটিকা প্রদর্শন।
৪. অভিনয়ের মাধ্যমে বিষয় ভিত্তিক স্বাস্থ্যশিক্ষা রপ্তকরণ।
৫. প্রশ্ন ও উত্তরের মাধ্যমে সঠিক জ্ঞান অর্জন নিশ্চিত করা।

এমএইচভির কন্ঠস্বর
www.mhvbd.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *