এমএইচভিরা ইপিআই টিকাদান কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে

এমএইচভির কন্ঠস্বর

টিকাদান কর্মসূচিতে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল। স্বাস্থ্যসেবায় সরকারের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ও উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। এই ইপিআই কর্মসূচির সাফল্যের জন্য মিলছে নানান স্বীকৃতি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইপিআই কর্মসূচি বাংলাদেশকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করছে। সব থেকে বড় কথা হলো, এ কর্মসূচির ফলেই দেশে মা ও শিশুমৃত্যুর হার কমানোর ও পঙ্গুত্ব রোধ করা সম্ভব হয়েছে। এই ইপিআই কর্মসূচিতে এমএইচভিদের আংশ গ্রহণের ফলে এটি আরো প্রানবন্দ হয়েছে। এমএইচভিরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে খবর পৌঁছানোর পাশাপাশি টিকাদান কর্মসূচিতে ও কাজ করছে।

টিকাদান কর্মসূচিতে বাংলাদেশের সফলতার জন্য ২০১৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পুরস্কার দিয়েছে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনেশন এবং ইমিউনাইজেশন (GAVI)।

সরকারের তথ্য মতে, ইপিআই কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশে মা ও শিশুদের ধনুষ্টঙ্কার দূরীকরণ অবস্থা বজায় রয়েছে। ২০০৬ সালের নভেম্বর মাস থেকে দেশকে পোলিওমুক্ত করে ২০১৪ সালের মার্চ মাসে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে পোলিওমুক্ত সনদ পায়। রুবেলা ও কনজেনিটাল রুবেলা সিনড্রোম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়। এসব সাফল্যের জন্য ২০০৯ এবং ২০১২ সালে শিশুদের রোগ প্রতিরোধে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির অবদানের জন্য বাংলাদেশ গ্যাভি অ্যালায়েন্স অ্যাওয়ার্ড পায়।

ইপিআই এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন যেসব রোগের টিকা দেওয়া হচ্ছে সেসব রোগে শিশুমৃত্যুর হার অনেক কমে গেছে। টিকাদান কর্মসূচি শুরুর আগে দেশে প্রতিবছর প্রায় আড়াই লাখ শিশু ছয়টি রোগে মারা যেত। বর্তমানে শিশুমৃত্যুর হার অনেক কমায় তা দেশের সার্বিক শিশুমৃত্যুর হার কমাতেও সহায়তা করছে।

পরিশেষে বলতে হয় ইপিআই টিকাদান কর্মসূচিতে এমএইচভিদের যুক্ত করা সরকারের আরো একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। অসংখ্য ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে।

১ thought on “এমএইচভিরা ইপিআই টিকাদান কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *