কমিউনিটি ক্লিনিক ঔষধ ব্যবহার নির্দেশিকা

এমএইচভি বাংলাদেশ

|ডাউনলোড pdf|

কমিউনিটি ক্লিনিক ঔষধ ব্যবহার নির্দেশিকা
১. এমোক্সিসিলিন ক্যাপসুল

Amoxicillin Capsule 250 mg
(এমোক্সিসিলিন ক্যাপসুল ২৫০ মিলিগ্রাম)

যে উপসর্গ বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ
বিভিন্ন ধরনের সংক্রামন বা প্রদাহ বা ইনফেকশন। (১) শ্বাসতন্ত্র ( যেমন- নিউমোনিয়া) (২) মুখ ও মুখগহ্বর (৩) কান, নাক ও গলা (৪) পিত্তথলি (৫) মূত্রতন্ত্র (৬) ত্বক।

সেবন মাত্রাঃ

১২ বছরের বেশি বয়সের জন্য প্রযোজ্যঃ ২৫০ মিলিগ্রাম এর ১ টি অথবা ২ টি ক্যাপসুল প্রতিদিন ৩ বার অর্থাৎ ৮ ঘন্টা পর পর ৫ দিন সেব্য। খাওয়ার আগে বা পরে যেকোনো সময় সেবন করা যায়। ( ওজন ৪০ কেজির কম হলে ২৫০ মিলিগ্রাম এর ১ টি ক্যাপসুল এবং ৪০ কেজির বেশি হলে ২ টি ক্যাপসুল ৮ ঘণ্টা পর পর।)

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) এই ঔষধটিতে এলার্জি বা সংবেদনশীলতা এবং পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) এলার্জি যেমন ত্বকে ফুসকুড়ি, লালচে বর্ণ ধারণ, চুলকানি
(২) বমি বমি ভাব অথবা বমি হওয়া।
(৩) পাকস্থলীর অস্বাচ্ছন্দ্য।
(৪) ডাইরিয়া।
(৫)মাথাধরা।

সাবধানতাঃ

(১) প্রদান/ব্যবহারের পূর্বে ঔষদের মেয়াদ দেখে নিতে হবে।
(২) ওষুধ দেওয়ার আগে রোগীকে জিজ্ঞাসা করুন এর আগে এই ধরনের ওষুধ খেয়েছিলেন কি না। যদি খেয়ে থাকেন তাহলে কোন প্রকার এলার্জি বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছিল কি না।
(৩) এটি একটি এন্টিবায়োটিক ঔষধ কোনভাবেই এটি খাবার যে নিয়ম তার ব্যতিক্রম করা যাবেনা। যে কয়দিন যেভাবে খেতে বলা হয়েছে সেই কয়দিন সেভাবেই খেতে হবে।

মন্তব্যঃ

(১)পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলি সামরিক ঔষধ খাওয়া বন্ধ করার পর ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যায়।
(২) অবস্থার উন্নতি না হলে রোগীকে দেখুন রেফার করে দিতে হবে।

২. এমোক্সিসিলিন পেডিয়াট্রিক ড্রপ

Amoxicillin Peadiatric Drop (125 mg/1.25 ml) – 10 ml ( এমোক্সিসিলিন পেডিয়াট্রিক ড্রপ ১২৫ মিলিগ্রাম/১.২৫ মিলিলিটার) – ১০ মিলিলিটার।

যে উপসর্গ বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

বিভিন্ন ধরনের সংক্রামন বা প্রদাহ বা ইনফেকশন। (১) শ্বাসতন্ত্র ( যেমন- নিউমোনিয়া) (২) মধ্য কর্ন (৩) সাইনাস (যেমন- সাইনোসাইটিস) (৪) টনসিল (যেমন- টনসিলাইটিস) (৫) গলা (৬) মুত্রতন্ত্র।

সেবন মাত্রাঃ

(প্রতি কেজি ওজনের জন্য ২০ থেকে ৪০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন ৮ ঘন্টা পরপর বিভক্ত ডোজে।)
★ জন্ম থেকে ২ মাস পর্যন্ত বয়সের শিশুদের জন্যঃ ০.৬ মি. লি. অর্থাৎ প্রদত্ত ড্রপারের ২ দাগ পরিমাণ ১২ ঘন্টা পর পর অর্থাৎ দিনে ২ বার ৫ থেকে ৭ দিন সেব্য।
★ ২ মাস থেকে ১২ মাস বয়সের শিশুদের জন্যঃ ১.২৫ মি. লি পর্যন্ত অর্থাৎ প্রদত্ত ড্রপারের ৪ দাগ পরিমাণ ৮ ঘন্টা পর পর অর্থাৎ দিনে ৩ বার ৫ থেকে ৭ দিন সেব্য।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) এলার্জি বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া (পেনিসিলিনে এলার্জি বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকা রোগীদের দেয়া যাবে না।)

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) এলার্জি যেমন স্কিন রেশ বা ত্বকে ফুসকুড়ি, লালচে হওয়া, চুলকানি।
(২) বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
(৩) পাকস্থলীর অস্বাচ্ছন্দ্য বা স্টোমাক ডিসকমফোর্ট।
(৪) ডাইরিয়া।
(৫)মাথাধরা।

সাবধানতাঃ

(১) প্রদান / ব্যবহারের পূর্বে ঔষধের মেয়াদ দেখে নিতে হবে। কোনভাবেই মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ ব্যবহার করা যাবে না।
(২) সঠিকভাবে ঔষধটি নিরাপদ পানিতে গুলিয়ে নিতে হবে।
(৩) প্রতিবার ব্যবহারের পূর্বে ঔষধটি হালকাভাবে ঝাঁকিয়ে নিতে হবে, যাতে ভালোভাবে মিশে যায়।
(৪) ঔষধ দেওয়ার আগে মা/ অভিভাবকে জিজ্ঞাসা করুন পূর্বে এই ধরনের ঔষধ খাওয়ানো হয়েছে কি না। যদি খাওয়ানো হয়ে থাকে তাহলে কোন প্রকার এলার্জি বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল কি না।
(৫) এটি একটি এন্টিবায়োটিক ঔষধ কোন ভাবেই এটি খাওয়ার নিয়মের ব্যতিক্রম করা যাবে না। যে কয়দিন যেভাবে খেতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে, সে কয়দিন সেভাবেই খাওয়াতে হবে।
(৬) ঔষধ গোলানোর পর ৭ দিনের বেশি রাখা যাবেনা।

মন্তব্যঃ

(১)পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলি সামরিক ঔষধ খাওয়া বন্ধ করার পর ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যায়।
(২) অবস্থার উন্নতি না হলে রোগীকে দেখুন রেফার করে দিতে হবে।

৩. এমোক্সিসিলিন ড্রাই সিরাপ

Amoxicillin Dry Syrup (125 mg / 5 ml) – 100 ml ( এমোক্সিসিলিন ড্রাই সিরাপ ১২৫ মিলিগ্রাম/ ৫ মিলিমিটার) – ১০০ মিলিলিটার।

যে উপসর্গ বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

বিভিন্ন ধরনের সংক্রামন বা প্রদাহ বা ইনফেকশন। (১) শ্বাসতন্ত্র ( যেমন- নিউমোনিয়া) (২) মধ্য কর্ন (৩) সাইনাস (যেমন- সাইনোসাইটিস) (৪) টনসিল (যেমন- টনসিলাইটিস) (৫) গলা (৬) মুত্রতন্ত্র।

সেবন মাত্রাঃ

★ ২ মাস থেকে ১২ মাস বয়সের শিশুদ জন্যঃ ১ চামচ করে ৮ ঘন্টা পর পর অর্থাৎ দিনে ৩ বার – ৫ দিন সেব্য।
★ ১২ মাস থেকে ১২ বছর বয়সের শিশুদের জন্যঃ ১ থেকে ২ চামচ করে ৮ ঘন্টা পর পর অর্থাৎ দিনে ৩ বার – ৫ দিন সেব্য।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) ঔষধের সংবেদনশীলতা বা এলার্জি থাকলে (পেনিসিলিনে এলার্জি থাকা রোগীদের দেয়া যাবে না।)

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) এলার্জি যেমন ত্বকে ফুসকুড়ি, লালচে বর্ণ ধারণ, চুলকানি
(২) বমি বমি ভাব অথবা বমি হওয়া।
(৩) পাকস্থলীর অস্বাচ্ছন্দ্য।
(৪) ডাইরিয়া।
(৫) মাথাধরা।

সাবধানতাঃ

(১) প্রদান / ব্যবহারের পূর্বে ঔষধের মেয়াদ দেখে নিতে হবে। কোনভাবেই মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ ব্যবহার করা যাবে না।
(২) সঠিকভাবে ঔষধটি নিরাপদ পানিতে গুলিয়ে নিতে হবে।
(৩) প্রতিবার ব্যবহারের পূর্বে ঔষধটি হালকাভাবে ঝাঁকিয়ে নিতে হবে, যাতে ভালোভাবে মিশে যায়।
(৪) ঔষধ দেওয়ার আগে মা/ অভিভাবকে জিজ্ঞাসা করুন পূর্বে এই ধরনের ঔষধ খাওয়ানো হয়েছে কি না। যদি খাওয়ানো হয়ে থাকে তাহলে কোন প্রকার এলার্জি বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল কি না।
(৫) এটি একটি এন্টিবায়োটিক ঔষধ কোন ভাবেই এটি খাওয়ার নিয়মের ব্যতিক্রম করা যাবে না। যে কয়দিন যেভাবে খেতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে, সে কয়দিন সেভাবেই খাওয়াতে হবে।
(৬) ঔষধ গোলানোর পর ৭ দিনের বেশি রাখা যাবেনা।

মন্তব্যঃ

(১)পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলি সামরিক ঔষধ খাওয়া বন্ধ করার পর ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যায়।
(২) অবস্থার উন্নতি না হলে রোগীকে দেখুন রেফার করে দিতে হবে।

৪. এন্টাসিড চুষে খাবার বড়ি

Antacid Chewable Tablet, 650 mg ( এন্টাসিড চুষে খাবার বড়ি, ৬৫০ মিলিগ্রাম। ঔষধটিতে থাকে এ্যলুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড ২৫০ মিলিগ্রাম ও ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড ৪০০ মিলিগ্রাম।)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) পেপটিক আলসার। (২) আতিরক্ত আম্ল নিঃসরণ (হাইপারএসিডিটি) (৩) গলা বুক জ্বালাপোড়া (হার্ট বার্ন) (৪) ক্ষুধামন্দা (৫) টক ঢেকুর উঠা।

সেবন বিধিঃ

১-২ টা বড়ি দিনে ৩ থেকে ৪ বার চুষে খাবে (খাওয়ার আধা ঘন্টা পূর্বে আথবা ১ ঘন্টা পরে)।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) পাতলা পাইখানা (২) কোষ্ঠকাঠিন্য

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) ক্ষুধামন্দা (২) পাতলা পায়খানা (৩) কোষ্ঠকাঠিন্য।

সাবধানতাঃ

বিশেষ কোনো সাবধানতার প্রয়োজন নেই। ঔষধের পরিমাণ একটু কম বেশি হলে তেমন অসুবিধা হয় না।

মন্তব্যঃ

এন্টিবায়োটিক এর ক্ষেত্রে যেমন খুব নিয়ম মেনে চলতে হয় এক্ষেত্রে তেমনটি নয় সমস্যা কমে গেলে এটির ডোজ কমানো যায় বা বন্ধ করে দেওয়া যায়।

৫. এ্যালবেন্ডাজল চুশে খাবার বড়ি

Albendazole Chewable Tablet, 400 mg
( এ্যালবেন্ডাজল চুশে খাবার বড়ি, ৪০০ মিলিগ্রাম)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) কেঁচো কৃমি ওয়ার্ম (২) বক্রকৃমি বা হুক ওয়ার্ম (৩) সুতা কৃমি বা পিন ওয়ার্ম বা থ্রেড ওয়ার্ম।

সেবন মাত্রাঃ

১ টি ট্যাবলেট ১ বার চুষে খাবে। ভরা পেটে সেব্য।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) গর্ভাবস্থায়।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
(২) পাকস্থলীর অস্বাচ্ছন্দ্য ও পেটে ব্যথা।
(৪) ডাইরিয়া।

সাবধানতাঃ

২ বছরের নিচের শিশুকে এ্যালবেন্ডাজল বড়ি না দিয়ে এ্যালবেন্ডাজল সাসপেনশন দিতে হবে।

মন্তব্যঃ

(১) প্রতি ৬ মাসে একবার খাওয়া ভাল।
(২) স্বাস্থ্য বিভাগের (এন এন এস পরিচালিত) কর্মসূচির আওতায় ৬ মাস অন্তর, ২ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের ১ টি করে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। এ ছাড়া (সিডিসি পরিচালিত) কর্মসূচির আওতায় ৬ মাস অন্তর, ৬ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের ১ টি করে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়।

৬. বেনজয়িক & স্যালিসাইলিক এসিড মলম

Benzoic & Salicylic Acid Ointment – 1 kg
(বেনজয়িক & স্যালিসাইলিক এসিড মলম – ১ কেজি)। এটি ৬% বেনজয়িক এসিড এবং ৩% স্যালিসাইলিক এসিড এর মিশ্রণে তৈরি অয়েন্টমেন্ট

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) দাগ ও অন্যান্য ছত্রাকের সংক্রমণ।

ব্যবহারের নিয়মঃ

দিনে ২ থেকে ৩ বার আক্রান্ত স্থানে ২ থেকে ৪ সপ্তাহ ব্যবহার করতে হবে। লাগানোর পূর্বে আক্রান্ত স্থান হালকা গরম পানিতে ধুয়ে এবং পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১)কাটা জায়গা।
(২) চোখ।
(৩) মুখগহবর।
(৪) যোনিপথ।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) ব্যবহারের স্থানে জ্বালাপোড়া।
(২) প্রদাহ বা ইনফ্লামেশনর কারণে আক্রান্ত স্থান লালচে বর্ণ হওয়া।
(৩) চুলকানি।

সাবধানতাঃ

যদি নির্দিষ্ট এই ঔষধটিতে এলার্জি বা পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হয় তাহলে এটি ব্যবহার করা যাবে না।

মন্তব্যঃ

শুধুমাত্র বাহ্যিক ব্যবহারের জন্য।

৭. বেনজাইল বেনজয়েট এপ্লিকেশন

Benzyl Benzoate Application (25% W/V) 100 ml
(বেনজাইল বেনজয়েট এপ্লিকেশন, ২৫%, ১০০ মিলি)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) স্ক্যাবিস এর কারণে চুলকানি।

ব্যবহারের নিয়মঃ

এটি খাবার ঔষুধ নয়। শুধুমাত্র বাহ্যিক ব্যবহারের জন্য। প্রথম দিন ঔষধটি শরীরে লাগানোর পূর্বে ভালো করে গোসল করে শরীর শুকিয়ে নিতে হবে। পরপর ৩ দিন ২ বার করে (সকালে ও রাতে) মুখমন্ডল ব্যতীত সারা গায়ে লাগাতে হবে। চতুর্থ দিনে ভালো করে গোসল করতে হবে। প্রথম এবং চতুর্থ দিনের মধ্যবর্তী দিনগুলোতে গোসল করা যাবে না। বাড়ির আক্রান্ত সবাই একই সাথে ঔষধটি ব্যবহার করবে। চতুর্থ দিনে জামা-কাপড়, চাদর, কাঁথা, মশারি ইত্যাদি সিদ্ধ করে ভালোভাবে ধুয়ে কড়া রোদে শুকিয়ে তারপর ব্যবহার করতে হবে।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১)কাটা জায়গা।
(২) চোখ।
(৩) মুখমন্ডল।
(৪) যোনিপথ।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) শরীর জ্বালাপোড়া করতে পারে।
(২) এলার্জি যেমন, ত্বকে ফুসকুড়ি ও লালচে বর্ণ ধারণ করতে পারে।

সাবধানতাঃ

কোনো ভাবেই মুখে খাওয়া যাবে না।

মন্তব্যঃ

এটি একটি দুর্গন্ধযুক্ত। ব্যবহারের পর কাপড়-চোপড়, বিছানা-পত্র সবকিছু ভালো করে ধুয়ে কড়া রোদে শুকিয়ে ব্যবহার করতে হবে।

৮. ক্যালসিয়াম ল্যাকটেট বড়ি

Calcium Lactate Tablet, 300 mg
(ক্যালসিয়াম ল্যাকটেট বড়ি, ৩০০ মিলিগ্রাম)


যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) গর্ভাবস্থায় (প্রথম তিন মাস ব্যতীত) (২) স্তন্যদায়ী মা (৩) বাড়ন্ত শিশু (৪) বয়সের কারণে মাসিক বন্ধ হওয়ার পর (৫) হাটু/ কোমর /ঘাড়ে ব্যথা (৬) বয়স বেশি হওয়ার কারণে অস্তিয় বা হাড়ের ক্ষয় জনিত রোগ।

সেবন মাত্রাঃ

★ প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য (বয়স ১২ বছরের বেশি): ১ টি বড়ি দিনে ২ থেকে ৩ বার সেব্য। কমপক্ষে ১ মাস ব্যবহার করতে হবে।
★ অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য (বয়স ১২ বছরের কম ): ১ টি বড়ি দিনে ১ বার সেব্য। কমপক্ষে ১ মাস ব্যবহার করতে হবে।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) কোষ্ঠকাঠিন্য।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) খালি পেটে খেলে এসিডিটি বেড়ে যেতে পারে। (২) ক্ষুধামন্দা (৩) কোষ্ঠকাঠিন্য

সাবধানতাঃ

বিশেষ কোনো সাবধানতার প্রয়োজন নাই। ওষুধের পরিমাণ একটু কম বেশি হলে তেমন অসুবিধা হয় না।

মন্তব্যঃ

এটাই শরীরের ক্যালসিয়াম বৃদ্ধি করে বলে অস্থি মজবুত হয়।

৯. ক্লোরফেনিরামিন ম্যালিয়েট বড়ি

Chlorpheniramine Maleate Tablet, 4 mg
(ক্লোরফেনিরামিন ম্যালিয়েট বড়ি, ৪ মিলিগ্রাম)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) চুলকানি (২) সাধারণ সর্দি কাশি (৩) পোকা মাকড়ের কামড়ের কারণে চুলকানি (৪) মোশন সিকনেস বা ভ্রমণকালে বমি বমি ভাব। (৫) এলার্জি জনিত কারণে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।

সেবন মাত্রাঃ

★ ৬ বছর থেকে ১২ বছর বয়স্কদের ক্ষেত্রেঃ অর্ধেক (½) বড়ি দিনে ৩ বার বা ৮ ঘন্টা পরপর।
★ পূর্ণ বয়স্ক দের ক্ষেত্রেঃ ১ টি বড়ি দিনে ৩ বার বা ৮ ঘন্টা পর পর।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) জানা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। (২) গ্লুকোমা বা চোখের উচ্চচাপ।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) তন্দ্রাচ্ছন্ন ঘুম ঘুম ভাব (২) দুর্বল লাগা (৩) মুখ ও গলা শুকিয়ে যাওয়া (৪) চোখে ঝাপসা দেখা।

সাবধানতাঃ

২ মাসের কম বয়সী শিশুদের ঔষধটি দেওয়া যাবে না।

মন্তব্যঃ

(১) ঘুম ঘুম ভাব হয় বিধায় যারা গাড়ি চালায় তাদের ক্ষেত্রে এই বিষয়ে সাবধান করে দেওয়া উচিত।
(২) ৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে সিরাপ ব্যবহার করা ভালো।

১০. ক্লোরফেনিরামিন সিরাপ

Chlorpheniramine Syrup (2 mg/ 5 ml) – 100 ml
(ক্লোরফেনিরামিন সিরাপ, ২ মি.গ্রা/৫ মিলি – ১০০ মিলি)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) চুলকানি (২) সাধারণ সর্দি কাশি (৩) পোকা মাকড়ের কামড়ের কারণে চুলকানি (৪) ভ্রমণকালে বমি বমি ভাব (মোসন সিকনেস)। (৫) এলার্জি জনিত কারণে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।

সেবন মাত্রাঃ

★ ১ বছর থেকে ২ বছরঃ অর্ধেক (½) চা চামচ দিনে ২ থেকে ৩ বার বা ৮ থেকে ১২ ঘন্টা অন্তর।
★ ২ বছর থেকে ৬ বছরঃ অর্ধেক (½) চা চামচ দিনে ৩ বার বা ৮ ঘন্টা অন্তর।
★ ৬ বছর থেকে ১২ বছরঃ ১ চা চামচ দিনে ৩ বার বা ৮ ঘন্টা অন্তর।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) তন্দ্রাচ্ছন্ন ঘুম ঘুম ভাব (২) দুর্বল লাগা (৩) মুখ ও গলা শুকিয়ে যাওয়া (৪) চোখে ঝাপসা দেখা। (৫) কোষ্ঠকাঠিন্য।

সাবধানতাঃ

ঔষধটি খেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ না করা ভালো।

মন্তব্যঃ

পরিমাণে যেন বেশি না খাওয়া হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।

১১. কো-ট্রাইমক্সজল বড়ি ১২০ মিলিগ্রাম

Cotrimoxazole Tablet, 120 mg
(কো-ট্রাইমক্সজল বড়ি, ১২০ মিলিগ্রাম)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ। শ্বাসতন্ত্র (যেমন- নিউমোনিয়া) মূত্রতন্ত্র, পরিপাকতন্ত্র (যেমন- পাতলা পায়খানা), ত্বক ইত্যাদির সংক্রমণ। এছাড়াও টাইফয়েড ও প্যারাটাইফয়েড জ্বর গনোরিয়া ইত্যাদি।

সেবন মাত্রাঃ

★ ২ মাস থেকে ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শিশুদের ক্ষেত্রেঃ ১টি বড়ি পানিতে গুলিয়ে ১২ ঘন্টা পর পর বা দিনে ২ বার – ৫ দিন সেব্য।
★ ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের ক্ষেত্রেঃ ২টি বড়ি পানিতে গুলিয়ে ১২ ঘন্টা পর পর বা দিনে ২ বার- ৫ দিন সেব্য।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) গর্ভাবস্থায় (২) অকার্যকর কিডনী ও লিভার সমস্যা।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া
(২) ক্ষুধামন্দা
(৩) এলার্জির কারণে ত্বকে চুলকানি বা দাগ হওয়া।

সাবধানতাঃ

কোনভাবেই এটির খাবার নিয়মের ব্যতিক্রম করা যাবে না যে কয়দিন যেভাবে খেতে বলা হয়েছে সেই কয়দিন সেভাবেই খেতে হবে।

মন্তব্যঃ

ঔষধটি খেতে একটু তিতা লাগে এজন্য গুলিয়ে খাবার জন্য এর সাথে একটু চিনি, মধু ইত্যাদি মিষ্টি জাতীয় কিছু মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে। ঔষধটির সাথে পানি বেশি খেতে হবে।

১২. কো-ট্রাইমক্সজল বড়ি ৯৬০ মিলিগ্রাম

Cotrimoxazole Tablet, 960 mg
(কো-ট্রাইমক্সজল বড়ি, ৯৬০ মিলিগ্রাম)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ বা প্রদাহ বা ইনফেকশন। (১) শ্বাসতন্ত্র (যেমন- নিউমোনিয়া) (২) মূত্রতন্ত্র (৩) পরিপাকতন্ত্র (যেমন- পাতলা পায়খানা)। (৪) ত্বক। এছাড়াও (৫) টাইফয়েড ও প্যারাটাইফয়েড জ্বর। (৬) গনোরিয়া।

সেবন মাত্রাঃ

★প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রেঃ ১টি ট্যাবলেট দিনে ২ বার বা ১২ ঘণ্টা পর ৫ দিন সেব্য।
★ ৬ থেকে ১২ বছর বয়স্কদের ক্ষেত্রেঃ অর্ধেক (১/২) ট্যাবলেট দিনে ২ বার বা ১২ ঘন্টা পর পর ৫ দিন সেব্য। খাওয়ার পরে খাওয়া উত্তম।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) গর্ভকালীন সময় (২) অকার্যকর কিডনি ও লিভার সমস্যা।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া।
(২) ক্ষুধামন্দা।
(৩) এলার্জির কারণে ত্বকে চুলকানি বা দাগ হওয়া।

সাবধানতাঃ

(১) এটি একটি কেমোথেরাপিউটিক ঔষধ। কোনভাবেই এটি খাবার নিয়মের ব্যতিক্রম করা যাবে না। যে কয়দিন যেভাবে খেতে বলা হয়েছে সে কয়দিন সেভাবেই খেতে হবে। (২) গর্ভকালীন সময়ে কোনভাবেই ওষুধ খাওয়া যাবে না। (৩) বেশি পানি খেতে হবে। (৪) রোগীকে জিজ্ঞাসা করতে হবে, এই ধরনের কোন ঔষধ খাবার কারণে পূর্ব কোন এলার্জি বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়েছিল কিনা। (৫) এলার্জি বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে ঔষধ বন্ধ করে রোগীকে উচ্চতর পর্যায়ে রেফার করতে হবে।

মন্তব্যঃ

(১) বড়ি ভেঙ্গে বাচ্চাদেরকে দিতে হলে পরিমাণের ব্যাপারে সতর্কতা অবশ্যক। (২) বাচ্চা রোগীদেরকে এই ঔষধটি না দিয়ে কো-ট্রিমক্সাজল (১২০ মিলিগ্রাম) ট্যাবলেট দেওয়া ভালো। এতে বড়ি ভাঙ্গার প্রয়োজন হবে না।

১৩. ক্লোরামফেনিকল চোখের ড্রপ

Chloramphenicol Eye Drop 0.5%, – 10 ml
(ক্লোরামফেনিকল চোখের ড্রপ ০.৫%, – ১০ মিলি)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) চোখের প্রদাহ বা চোখ ওঠা বা কনজাংটিভাইটিস
(২) চোখ লাল হয়ে যাওয়া।

ব্যবহার বিধিঃ

৩ ফোঁটা করে ২ থেকে ৪ ঘণ্টা পরপর প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ বার চোখে ব্যবহার করতে হবে। ৭ দিনের বেশি ব্যবহার করা যাবে না।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

অতিসংবেদনশীলতা বা হাইপারসেনসিটিভিটি।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

বিশেষ কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

সাবধানতাঃ

যদি এই নির্দিষ্ট ঔষধটিতে এলার্জি থাকে তবে ব্যবহার করা যাবে না।

মন্তব্যঃ

এটি শুধুমাত্র চোখে ব্যবহারের জন্য।

১৪. ফেরাস ফিউমারেট এন্ড ফলিক এসিড বড়ি

Ferrous Fumarate & Folic Acid Tablet, 200.4 mg (ফেরাস ফিউমারেট এন্ড ফলিক এসিড ট্যাবলেট, ২০০.৪ মিলিগ্রাম)। ঔষধটিতে আছে ফেরাস ফিউমারেট ২০০ মিলিগ্রাম এবং ফলিক এসিড ০.৪ মিলিগ্রাম।

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) গর্ভকালীন (২) প্রসবোত্তর বা সন্তান দানকারী মা (৩) আয়রনের অভাবে রক্ত স্বল্পতা (৪) মুখ বা জিহ্বার ঘা দেখা দিলে।

সেবন মাত্রাঃ

★ ১ বছর থেকে ৪ বছর বয়স পর্যন্তঃ অর্ধেক (½) ট্যাবলেট দিনে ২ বার ১২ ঘন্টা পরপর।
★ ৪ বছর থেকে ১২ বছর বয়স পর্যন্তঃ ১টি ট্যাবলেট দিনে ২ বার বা ১২ ঘন্টা পর পর।
★ প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রেঃ ১ টা ট্যাবলেট দিনে ৩ বার বা ৮ঘন্টা পর পর। ঔষধটি ভরা পেটে খাওয়া ভালো।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) কোষ্ঠকাঠিন্য (২) ডায়রিয়া।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) বমি বমি ভাব বা বমি (২) বুক জ্বালা (৩) ডায়রিয়া (৪) কোষ্ঠকাঠিন্য।

সাবধানতাঃ

বিশেষ কোনো সাবধানতার প্রয়োজন নেই। ঔষধের পরিমাণ একটু কম বেশি হলে তেমন অসুবিধা হয়না। মল কালো হতে পারে এটা স্বাভাবিক।

মন্তব্যঃ

(১) রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়তে সাহায্য করে এই জন্য ঔষধটি দীর্ঘদিন খাওয়া যায়। (২) মুখে বা জিহবায় ঘা হলে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এর সাথে খাওয়া যেতে পারে।

১৫. জেনসন ভায়োলেট

Gentian Violet 2% Topical Solution, 10 ml
(জেনসন ভায়োলেট ২% বাহ্যিক ব্যবহারের সল্যুশন, ১০ মিলিলিটার)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) ত্বকে ছত্রাকের সংক্রমণ বা ইনফেকশন (২) আচড় বা কাটাছেঁড়া (৩) মুখগহব্বরে ছত্রাকের সংক্রমণ বা ইনফেকশন (ক্যানডিডিয়াসিস)

সেবন মাত্রাঃ

★ মুখগহব্বরে ছত্রাকের সংক্রমণ বা ইনফেকশন (ক্যানডিডিয়াসিস) হলে ঔষধটি দিয়ে কুলকুচি করতে হবে।
– দিনে ৩ থেকে ৪ বার, ৫ দিন।
★ অন্যান্য ক্ষেত্রে দিনে ২ থেকে ৩ বার (আক্রান্ত বা ক্ষতস্থানে) – – ৫ দিন ব্যবহার করতে হবে।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) চোখ।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই তবে নির্দিষ্ট ওষুধে এলার্জি হতে পারে।

সাবধানতাঃ

কাপড়ের দাগ লেগে যেতে পারে। এজন্য সাবধান থাকা ভাল।

মন্তব্যঃ

(১) শুধুমাত্র বাহ্যিক ব্যবহারের জন্য। (২) ত্বকে ছত্রাকের সংক্রমণ সাধারণতঃ হাত বা পায়ের আঙ্গুলের মধ্যবর্তী স্থানে দেখা যায়, তবে শরীরের অন্যত্রও হতে পারে।

১৬. হাইয়োসিন বিউটাইল ব্রোমাইড বড়ি

Hyoscine Butyl Bromide Tablet, 10 mg
(হাইয়োসিন বিউটাইল ব্রোমাইড বড়ি, ১০ মিলিগ্রাম)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) তলপেটে ব্যথা; যেমন মাসিকের সময় অস্বাভাবিক ব্যথা।
(২) গ্যাস্ট্রিক/ ডিওডেনাল আলসারের ব্যথা।
(৩) মূত্রনালী মূত্রথলির ব্যথা। (৪) পিত্তশুল বা পিত্তাশয়ের ব্যাথা।

সেবন মাত্রাঃ

১ টি থেকে ২ টি বড়ি দিনে ৩ বার বা ৮ ঘন্টা পর পর সেব্য। ব্যথা কম হলে প্রয়োজনে অর্ধেক বড়িও খাওয়া যেতে পারে। ব্যথা কমে গেলে খাবার দরকার নেই। খালি পেটে খাওয়া ভাল।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) কোষ্ঠকাঠিন্য। (২) বয়স্ক পুরুষ যাদের প্রোষ্টেট বেড়ে যাওয়ায় প্রস্রাব বেধে বেধে হয়। (৩) গ্লুকোমা বা চোখের উচ্চচাপ।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) বমি বমি ভাব (২) পেটে অস্বস্তি বোধ হওয়া (৩) কোষ্ঠকাঠিন্য (৪) মুখ শুকিয়ে যাওয়া। (৫) চোখে ঝাপসা দেখা। (৬) প্রসাব করতে বেশী সময় লাগে।

সাবধানতাঃ

বিশেষ কোন সাবধানতার প্রয়োজন নেই।

মন্তব্যঃ

এন্টিবায়োটিক ঔষধের মতো নিয়ম না মানলেও খুব একটা অসুবিধা হয় না৷ এটি শরিরের নরম মাংসপেশীর সংকোচন বাধা সৃষ্টি করে ব্যথা কমতে সাহায্য করে।

১৭. মেট্রোনিডাজল বড়ি

Metronidazole Tablet, 400 mg
(মেট্রোনিডাজল বড়ি, ৪০০ মিলিগ্রাম)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) আমাশয় (২) অতিরিক্ত সাদা স্রাব (৩) জরায়ুতে প্রদাহ বা ইনফেকশন (৪) লিভার অ্যাবসেস (৫) এ্যানোরবিক ইনফেকশন বা শরীরের ভিতরের প্রদাহ বা অক্সিজেন ছাড়াই সংঘটিত হয়।

সেবন মাত্রাঃ

★ ৬ বছর থেকে ১২ বছর বয়স্ক শিশুদের ক্ষেত্রেঃ অর্ধেক (½) ট্যাবলেট ৮ ঘণ্টা পরপর বা দিনে ৩ বার – খাওয়ার পরে ৫ দিন সেব্য।
★ প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রেঃ ১টি ট্যাবলেট ৮ ঘন্টা পর পর দিনে ৩ বার। খাবার পরে ৫ দিন সেব্য।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) গর্ভাবস্থায়।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) বমি বমি ভাব বা বমি। (২) অরুচি (৩) ধাতব স্বাদ বা মেটালিক টেস্ট (৪) কোষ্ঠকাঠিন্য।

সাবধানতাঃ

এটি একটি এন্টিএ্যামিবিক ঔষধ। কোনভাবেই এটি খাবার যে নিয়ম তার ব্যতিক্রম করা যাবেনা যে কয়দিন কিভাবে খেতে বলা হয়েছে সে কয়দিন সেভাবেই খেতে হবে।

মন্তব্যঃ

ঔষধ খাবার কারণে খাবারের স্বাভাবিক স্বাদ বদলে যেতে পারে এটাকে মেটালিকস বলে। ঔষধ খাওয়া শেষ হয়ে গেলে কয়েক দিনের মধ্যে আবার তা ঠিক হয়ে যায়।

১৮. নিওমাইসিন & বেসিট্রাসিন ত্বকের মলম

Neomycin & Bacitracin Skin Ointment, 10 mg
(নিওমাইসিন & বেসিট্রাসিন ত্বকের মলম, ১০ গ্রাম)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) আগুনে পোড়া বা বিদ্যুৎস্পৃষ্টতার কারণে সৃষ্ট ক্ষত (২) জীবাণু দ্বারা সৃষ্ট ক্ষত (৩) শরীরে কোথাও কেটে গেলে (৪) ত্বকের প্রদাহ।

ব্যাবহার বিধিঃ

দিনে ২ থেকে ৩ বার – ৫ থেকে ৭ দিন ক্ষত স্থানে ব্যবহার করতে হবে।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) চোখ (২) মুখগহব্বর (৩) যৌনী পথ।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

এই নির্দৃষ্ট ঔষধে এলার্জি যেমন ত্বকে র‍্যাস বা ফুসকুড়ি, ত্বক লালচে হয়ে যাওয়া, চুলকানি।

সাবধানতাঃ

এটি একটি এন্টিবায়োটিক ঔষধ সুতরাং নিয়ম মত ব্যবহার করতে হবে।

মন্তব্যঃ

শুধুমাত্র বাহ্যিক ব্যবহারের জন্য।

১৯. ওআরএস – ওরাল রিহাইড্রেশন সল্ট

ORS – Oral Rehydration Salt
(ওআরএস – ওরাল রিহাইড্রেশন সল্ট)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা অথবা বমির কারণে শরীরে পানি স্বল্পতা।

সেবন মাত্রাঃ

এক প্যাকেট ওরাল স্যালাইন আধা লিটার নিরাপদ পানিতে গুলিয়ে নিতে হবে এবং প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর যতটুকু সম্ভব ততটুকু খেতে দিতে হবে।

ব্যবহার সময়সীমাঃ

তৈরিকৃত স্যালাইন ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত পান করা যাবে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

সাবধানতাঃ

(১) উচ্চ রক্তচাপ থাকলে সর্তকতা অবলম্বন করে স্যালাইন পান করতে হবে। (২) খেয়াল রাখতে হবে যেন প্রয়োজনীয় পাত্র, চামচ ইত্যাদি জীবাণুমুক্ত থাকে। (৩) স্যালাইন তৈরির পূর্বে হাত ভালো করে সাবান দিয়ে নিরাপদ পানিতে ধুয়ে নেওয়া আবশ্যক। (৪) মিশ্রণ এর অনুপাত যেন ঠিক থাকে সে ব্যাপারে সাবধান থাকা অবশ্যক।

মন্তব্যঃ

চরম পানিস্বল্পতার লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই রেফার করতে হবে। ডায়বেটিস (বহুমূত্র) রোগ থাকলে রোগীকে রেফার করতে হবে।

২০. প্যারাসিটামল বড়ি

Paracetamol Tablet, 500 mg
(প্যারাসিটামল বড়ি, ৫০০ মিলিগ্রাম)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) জ্বর (২) যেকোনো ধরনের স্বল্প থেকে মাঝারি ব্যথা। যেমন- মাথাব্যথা, কানে ব্যথা, শরীর ব্যথা, দাঁত ব্যথা, বাতের ব্যথা, ঋতুস্রাবের ব্যথা ইত্যাদি।

সেবন মাত্রাঃ

★ ১ বছর থেকে ৫ বছর বয়স পর্যন্তঃ ১টি বড়ির চার ভাগের এক ভাগ (¼) থেকে অর্ধেক (½) বড়ি ৬ ঘণ্টা পরপর দিনে ৪ বার। জ্বর বা ব্যথা বেশি হলে ৪ ঘণ্টা পরপর বার দিনে ৬ বার।
★ ৫ বছর থেকে ১২ বছর বয়স পর্যন্তঃ অর্ধেক (½) থেকে ১টি বড়ি ৬ ঘণ্টা পরপর দিনে ৪ বার। জ্বর বা ব্যাথা বেশি হলে ৪ ঘণ্টা পরপর দিনে ৬ বার।
★ প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্যঃ ১ টি বা ২ টি বড়ি ৬ ঘণ্টা পরপর দিনে ৪ বার। জ্বর বা ব্যথা বেশি হলে ৪ ঘণ্টা পরপর দিনে ৬ বার।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) গর্ভাবস্থায় না খাওয়া ভালো। (২) কিডনি কার্যকর হলে। (৩) লিভার বা যকৃৎ এর কোন রোগ হলে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া। (২) ক্ষুধামন্দা। (৩) গলা বুক জ্বালা ও টক ঢেকুর ওঠা। (৪) পেপটিক আলসার থাকলে পেট ব্যথা সহ অন্যান্য লক্ষণ বেড়ে যাওয়া।

সাবধানতাঃ

(১) খাওয়ার পরে অর্থাৎ ভরা পেটে খেতে হবে। (২) জ্বর ১০০ ডিগ্রী ফারেনহাইট এর বেশি না হলে ঔষধ না খাওয়া ভালো। (৩) পেপটিক আলসার থাকলে সাথে এন্টাসিড বড়ি খেতে হবে।

মন্তব্যঃ

এন্টিবায়োটিক এর ক্ষেত্রে যেমন খুব নিয়ম মেনে চলতে হয় এক্ষেত্রে তেমনটি নয় সমস্যা কমে গেলে এটির ডোজ কমানো যায় বা বন্ধ করে দেওয়া যায়।

২১. প্যারাসিটামল সাসপেনশন

Paracetamol Suspension (120 mg / 5 ml) 60 ml ( প্যারাসিটামল সাসপেনশন, ১২০ মিলিগ্রাম / ৫ মিলিলিটার। ঔষধের পরিমান ৬০ মিলিলিটার)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) জ্বর (২) যেকোনো ধরনের স্বল্প থেকে মাঝারি ব্যথা। যেমন- মাথাব্যথা, কানে ব্যথা, শরীর ব্যথা, দাঁত ব্যথা ইত্যাদি।

সেবন মাত্রাঃ

শিশুর বয়স ১ বছরের কম হলে প্যারাসিটামল বড়ি না খাইয়ে সাসপেনশন খাওয়ানো উত্তম। খালি পেটে খাওয়ানো যাবে না।
★ ৩ থেকে ৬ মাস বয়স পর্যন্তঃ আধা (½) চা-চামচ ৬ ঘন্টা পর পর বা দিনে ৪ বার। জ্বর বা ব্যথা বেশি হলে ৪ ঘণ্টা পরপর বা দিনে ৬ বার।
★ ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্তঃ ১ চা-চামচ ৬ ঘন্টা পর পর বা দিনে ৪ বার। জ্বর বা ব্যথা বেশি হলে ৪ ঘণ্টা পরপর বা দিনে ৬ বার।
★ ১ বছর থেকে ৬ বছর পর্যন্তঃ ২ চা-চামচ ৬ ঘন্টা পর পর বা দিনে ৪ বার। জ্বর বা ব্যথা বেশি হলে ৪ ঘণ্টা পরপর বা দিনে ৬ বার।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) কিডনি কার্যকর হলে। (২) লিভার বা যকৃৎ এর কোন রোগ হলে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) খালি পেটে খাওয়ালে পেটে ব্যথা হতে পারে।

সাবধানতাঃ

(১) খাওয়ার পরে অর্থাৎ ভরা পেটে খেতে হবে। (২) জ্বর ১০০ ডিগ্রী ফারেনহাইট এর বেশি না হলে ঔষধ না খাওয়াই ভালো।

মন্তব্যঃ

এন্টিবায়োটিক এর ক্ষেত্রে যেমন খুব নিয়ম মেনে চলতে হয় এক্ষেত্রে তেমনটি নয় সমস্যা কমে গেলে এটির ডোজ কমানো যায় বা বন্ধ করে দেওয়া যায়।

২২. পেনিসিলিন-ভি বড়ি

Penicillin-V Tablet, 250 mg
(পেনিসিলিন-ভি বড়ি, ২৫০ মিলিগ্রাম)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ বা প্রদাহ বা ইনফেকশন। (১) শ্বাসতন্ত্র (যেমন-নিউমোনিয়া) (২) গলা (৩) টনসিল (যেমন-টনসিলাইটিস) (৪) ত্বক। এ ছাড়াও (৫) বাতজ্বর।

সেবন মাত্রাঃ

★ ১ বছর থেকে ৫ বছর বয়স পর্যন্তঃ অর্ধেক (½) বড়ি ৬ ঘন্টা পর পর বা দিনে ৪ বার।
★ ৫ বছর থেকে ১২ বছর বয়স পর্যন্তঃ ১ টি বড়ি ৬ ঘন্টা পর পর বা দিনে ৪ বার।
★ প্রাপ্তবয়স্ক রোগীর ক্ষেত্রেঃ ১ টি বা ২ টি বড়ি ৬ ঘন্টা পর পর বা দিনে ৪ বার। ঔষধটি খালি পেটে সেবন করা ভালো।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) হাইপারসেনসেটিভিটি বা সংবেদনশীলতা।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া। (২) পাকস্থলীর অস্বাচ্ছন্দ্য। (৩) ডায়রিয়া (৪) এনার্জি যেমন, ত্বকে ফুসকুড়ি, লালচে বর্ণ ধারণ, চুলকানি। (৫) মাথাধরা।

সাবধানতাঃ

(১) এটি একটি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ কোনভাবেই খাবার যে নিয়ম তার ব্যতিক্রম করা যাবে না। যে কয়দিন যেভাবে খেতে বলা হয়েছে সে কয়দিন সেভাবেই খেতে হবে।
(২) রোগীকে জিজ্ঞাসা করতে হবে এই ধরনের কোন ঔষধ খাবার কারণে পূর্বে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়েছিল কিনা। ওষুধের কারণে পাশ্ব-প্রতিক্রিয়া হলে এটি সেবন করা যাবে না।
(৩) ঔষধের মেয়াদ ঠিক আছে কিনা তা দেখে নিতে হবে।

মন্তব্যঃ

ঔষধটি বেশিদিন ব্যবহার প্রয়োজন হতে পারে, তবে সেবাদানকারী একবারে সর্বোচ্চ ৫ দিনের জন্য দিতে পারেন।

২৩. সালব্যুটামল বড়ি

Salbutamol Tablet, 4 mg
(সালব্যুটামল বড়ি, ৪ মি.গ্রা)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি বা এ্যাজমা। (২) নিউমোনিয়া ও অন্যান্য ফুসফুসের প্রদাহ যেমন- ব্রংকিওলাইটিস।

সেবন মাত্রাঃ

★ ২ বছর থেকে ১২ বছর বয়স পর্যন্তঃ অর্ধেক (½) বড়ি ৮ ঘন্টা পর পর বা দিনে ৩ বার।- ৫ দিন সেব্য।
★ প্রাপ্তবয়স্ক রোগীর ক্ষেত্রেঃ ১ টি বড়ি ৮ ঘন্টা পর পর বা দিনে ৩ বার – ৫ দিন সেব্য।
★ ও প্রয়োজন হলে ঔষধটি ৬ ঘন্টা পর পর বা দিনে ৪ বার খাওয়া যায়।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) দ্রুত হৃদস্পন্দন (বুক ধড়ফড়ানি) (২) অস্থিরতা (৩) হাত পা কাঁপা (৪) হৃদরোগ।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) দ্রুত হৃদস্পন্দন (বুক ধড়ফড়ানি) (২) অস্থিরতা (৩) হাত পা কাঁপা (৪) মাথাধরা।

সাবধানতাঃ

রোগীর শ্বাসকষ্ট বেশি হলে দ্রুত রেফার করে দিতে হবে।

মন্তব্যঃ

শ্বাসকষ্ট নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ঔষধটি দিবেন না।

২৪. সালব্যুটামল সিরাপ

Salbutamol Syrup, (2 mg/5 ml) – 100 ml
(সালব্যুটামল সিরাপ, ২ মি.গ্রা/৫ মিলি – ১০০ মিলি)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি বা এ্যাজমা। (২) নিউমোনিয়া এবং অন্যান্য ফুসফুসের প্রদাহ বা ইনফেকশন যেমন- ব্রংকিউলাইটিস।

সেবন মাত্রাঃ

★ ২ মাস থেকে ৬ মাস বয়স পর্যন্তঃ আধা (½) চা চামচ ৬ থেকে ৮ ঘন্টা পর পর বা দিনে ৩ বার।- ৫ দিন সেব্য।
★ ৬ মাস থেকে ১ বছর বয়স পর্যন্তঃ ১ চা চামচ ৬ থেকে ৮ ঘন্টা পর পর বা দিনে ৩ বার।- ৫ দিন সেব্য।
★ ১ বছর থেকে ৬ বছর বয়স পর্যন্তঃ ১ থেকে দেড় চা চামচ ৮ ঘন্টা পর পর বা দিনে ৩ বার।- ৫ দিন সেব্য।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) দ্রুত হৃদস্পন্দন (বুক ধড়ফড়ানি) (২) অস্থিরতা (৩) হাত পা কাঁপা।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) দ্রুত হৃদস্পন্দন (বুক ধড়ফড়ানি) (২) অস্থিরতা (৩) হাত পা কাঁপা।

সাবধানতাঃ

রোগীর শ্বাসকষ্ট বেশি হলে দ্রুত রেফার করে দিতে হবে।

মন্তব্যঃ

শ্বাসকষ্ট নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ঔষধটি দিবেন না।

২৫. ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল

Vitamin A Capsule (2 Lac I.U)
(ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল, ২ লক্ষ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) রাতকানা (২) ডায়রিয়া পরবর্তী সময় (৩) হাম পরবর্তী সময় (৪) নিউমোনিয়া পরবর্তী সময় (৫) শিশুর অপুষ্টি (৬) প্রসবোত্তর মা (প্রসবের ৪২ দিনের মধ্যে)

সেবন মাত্রাঃ

★ রাতকানা রোগের ক্ষেত্রেঃ ১ম দিন ১ টি, ২য় দিন ১ টি এবং ১৪ তম দিন ১ টি অর্থাৎ মোট ৩ টি ক্যাপসুল।
★ অন্যান্য ক্ষেত্রেঃ ডায়রিয়া, হাম ও নিউমোনিয়া পরবর্তী সময়ে প্রতিবারে ১ টি ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে।
★ অপুষ্টিতে ভোগা শিশুকে ১ টি ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। (শিশুর বয়স ২ বছরের মধ্যে হলে ক্যাপসুলটির মুখ কেটে ৪ ফোঁটা খাওয়াতে হবে। ১ টি ক্যাপসুলে থাকে ৮ ফোঁটা এবং প্রতি ফোঁটায় থাকে ২৫ হাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট) ২ বছর থেকে ৫ বছরের মধ্যে হলে ১ টি ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে।
★ প্রসবোত্তর মাকে (প্রসবের ৪২ দিনের মধ্যে) ১ টি ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

গর্ভকালীন।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

নির্দেশনা অনুসারে সঠিক মাত্রায় ব্যবহারে তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

সাবধানতাঃ

খেয়াল রাখতে হবে যেন মাত্রা বেশি না হয়।

মন্তব্যঃ

রাতকানা রোধে ভিটামিন ‘এ’ এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার ব্যাপারে সতর্কতা অবশ্যক।

২৬. ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স বড়ি

Vitamin-B-Complex Tablet (ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স বড়ি)
ঔষধটিতে আছে, ভিটামিন বি-১ বা থায়ামিন, ৫ মিগ্রা + ভিটামিন বি-২ বা রিবোফ্যাভিন, ২ মিগ্রা + ভিটামিন বি-৩ বা নিকোটিনামাইড, ২ মিগ্রা + ভিটামিন বি-৬ বা পাইরিডক্সিন, ২ মিগ্রা।

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) মুখে ও জিহ্বায় ঘা বা ক্ষত (২) ভিটামিন বি এর অভাবজনিত রোগ যেমন বেরি বেরি (৩) গর্ভাবস্থায় দীর্ঘদিন এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করা রোগী। (৪) শরীর দুর্বল লাগলে।

সেবন মাত্রাঃ

১ টি বড়ি ৮ ঘণ্টা অন্তর দিনে ৩ বার। খাবার পরে সেবন করা ভালো।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) ডাইরিয়া।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।

সাবধানতাঃ

তেমন কোন সাবধানতার দরকার নেই। খাওয়ার আগে বা পরে খাওয়া যায়, তবে খাওয়ার পরে সেবন করা ভালো।

মন্তব্যঃ

প্রসাবের রং হলুদ হতে পারে। এতে ভয় পাবার কিছু নেই। ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিলে এটি ঠিক হয়ে যায়।

২৭. জিস্ক ডিসপারসেবল বড়ি

Zinc Dispersable Tablet, 20 mg
(জিস্ক ডিসপারসেবল বড়ি, ২০ মিলিগ্রাম)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) অপর্যাপ্ত খাবার অথবা বদহজম থেকে শরীরে জিংক এর অভাব হলে। (২) শরীরের বৃদ্ধি ব্যাহত হলে অর্থাৎ শিশু, কিশোর-কিশোরীরা ঠিকমতো বেড়ে না উঠলে। (৩) অরুচি। (৪) চুল পড়া (৫) চামড়ার প্রদাহ বা ইনফেকশন। (৬) ডায়রিয়া চলাকালীন এবং পরে (৭) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে।

সেবন মাত্রাঃ

★ শিশু যাদের ওজন ১০ কেজির কমঃ ১ টি বড়ি প্রতিদিন ১ বার করে – ১০ দিন সেব্য।
★ শিশু যাদের ওজন ১০ থেকে ৩০ কেজিঃ ১ টি বড়ি প্রতিদিন ১ থেকে ২ বার করে – ১০ দিন সেব্য।
★ প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশু যাদের ওজন ৩০ কেজি বা তার বেশিঃ ১ টি বড়ি প্রতিদিন ১ থেকে ৩ বার করে – ১০ দিন সেব্য।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) জিংকে অতি সংবেদনশীলতা।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) বমি বমি ভাব বা বমি (২) ক্ষুধামন্দা (৩) পাকস্থলীতে অস্বস্তি/ব্যথা (৪) মাথা ব্যথা।

সাবধানতাঃ

জিংক বড়ি দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যাবে না। খাবার পরে খাওয়া ভালো।

মন্তব্যঃ

নিয়ম মেনে খেতে হবে।

২৮. কনডম



যে জন্য ব্যবহার করতে হবেঃ

এটি পুরুষদের জন্য একটি সহজ, নিরাপদ ও কার্যকর অস্থায়ী জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি।

ব্যবহার বিধিঃ

কনডমের প্যাকেটের গায়ের লেখা ও ছবি অনু্যায়ী কমডম ব্যবহার করতে হবে।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

কনডমের প্যাকেটে যদি ছিদ্র থাকে বা খোলার সময় যদি কনডমটি ছিড়ে যায়।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

নিয়মমত ব্যবহার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।

সাবধানতাঃ

শিশুদের নাগালের বাইরে শুস্ক স্থানে রাখতে হবে

মন্তব্যঃ

ব্যবহারের পূর্বে মেয়াদ উর্ত্তীণের তারিখ দেখে নিতে হবে।

২৯. কন্ট্রাসেপটিভ পিল বা গর্ভনিরোধক খাওয়ার বড়ি



যে জন্য ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) গর্ভনিরোধের জন্য। এটি সাধারণ মানুষের কাছে খাবার বড়ি হিসাবে পরিচিত।

খাবার নিয়মঃ

মাসিকের ১ম দিন থেকে ২১ তম দিন পর্যন্ত সাদাবড়ি। পরবর্তী ৭ দিন অর্থাৎ ২২ তম দিন থেকে ২৮ তম দিন পর্যন্ত লালবড়ি (আয়রন বড়ি) এবং পুনরায় ২৯ তম দিন থেকে নতুন করে সাদাবড়ি খাওয়া শুরু করতে হবে (আগের নিয়মানুযায়ী)। লালবড়ি বা আয়রন বড়ির সাথে মাসিকের কোনো সম্পর্ক নাই, এটি রক্ত স্বল্পতা পুরণে সাহায্য করে।

যে ক্ষেত্রে খাওয়া করা যাবে নাঃ

(১) গর্ভাবস্থায় (২) উচ্চ রক্ত চাপ (৩) হৃদ রোগ (৪) ডায়বেটিস (৫) জরায়ুর মুখ ও স্তনের ক্যান্সার। (৬) জন্ডিস বা পূর্বে জন্ডিস হয়ে থাকলে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, দীর্ঘদিন সেবনে ওজন বৃদ্ধি, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি।

সাবধানতাঃ

গর্ভাবস্থায় খাওয়া যাবে না।

মন্তব্যঃ

কেউ বড়ি খেতে ভুলে গেলে সেক্ষেত্রে কর্মীর উচিৎ হবে ভালোভাবে জেনে তারপর পরামর্শ দেওয়া।

৩০. মিসোপ্রোস্টোল

মিসোপ্রোস্টোল (২০০ মাক্রোগ্রামের বড়ি)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

প্রসব পরবর্তী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ প্রতিরোধ।

সেবনের নিয়মঃ

(১) বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর গর্ভফুল বের হোক বা না হোক ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে ৪০০ মাইক্রোগ্রাম মিসোপ্রোস্টোল (২০০ মাক্রোগ্রামের) ২ টি বড়ি এক সাথে প্রসূতিকে খাওয়াতে হবে।
(২) যদি বাচ্চা ও গর্ভফুল একসাথে প্রসব হয় তাহলেও প্রসাবের ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে ২ টি মিসোপ্রোস্টোল বড়ি একসাথে প্রসূতিকে খাওয়াতে হবে।
(৩) গর্ভে আর বাচ্চা নেই নিশ্চিত হয়ে এবং যমজ বা ততোধিক বাচ্চার ক্ষেত্রে সকল বাচ্চার প্রসাবের পর গর্ভে আর কোনো বাচ্চা নেই নিশ্চিত হয়ে গর্ভফুল বের হোক বা না হোক ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে প্রসূতিকে ২ ট মিসোপ্রোস্টোল বড়ি একসাথে খাওয়াতে হবে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

মিসোপ্রোস্টোল খাওয়ার পরে কারো কারো ক্ষেত্রে সম্ভাব্য যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সাময়িকভাবে হতে পারে তা হলো – জ্বর, হালকা কাঁপুনি, তলপেটে ব্যথা এবং ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলে করণীয়ঃ

★জ্বর হলে – মিসোপ্রোস্টোল বড়ি খাওয়ার পর কখনো কখনো জ্বর হতে পারে এবং তা সাধারণতঃ ৩-৪ ঘন্টা পর্যন্ত থাকতে পারে।
এ সময় পরিষ্কার ভেঁজা কাপড় দিয়ে প্রসূতির গা মুছে দিতে হবে এবং জ্বরের ঔষধ যেমন – প্যারাসিটামল বড়ি ১ টা বা ২ টা খাওয়াতে হবে। তারপরও যদি জ্বর না কমে তাহলে বাড়িতে অপেক্ষা না করে প্রসূতিকে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিতে হবে কাঁপুনি হলে গরম চা দুধ অথবা হালকা গরম পানি খাওয়াতে হবে।
★কাঁপুনি হলে – গরম চা, দুধ অথবা হালকা গরম পানি খাওয়াতে হবে এবং কম্বল, কাঁথা বা চাদর দিয়ে প্রসূতি মাকে ডেকে দিতে হবে।
★তলপেটে ব্যথা হলে – প্যারাসিটামল বড়ি ১ টা বা ২ টা খেতে দিতে হবে।
★ডায়রিয়া হলে – প্রয়োজনমতো খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে।

প্রসাব পরবর্তী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বোঝার উপায়ঃ

★মাঝারি ধরনের রক্তক্ষরণ অনেকক্ষণ ধরে চলতে থাকে এবং রক্তে একটা পেটিকোট সম্পূর্ণ ভিজে যায়।
★সন্তান প্রসবের পর যদি জমাট রক্তক্ষরণ হয় এবং ঐ জমাট রক্তের পরিমাণ এমন হয় যে, তা দুই হাতের একত্রিত তালু (আঁজলা) ভরে যায়।

প্রসব পরবর্তী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণসমূহঃ

বিভিন্ন কারণে একজন মহিলার প্রসব-পরবর্তী অতিরক্ত রক্তক্ষরণ হতে পারে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সন্তান প্রসবের পর যদি-
★জরায়ু শিথিল থাকে অর্থাৎ জরায়ু সঠিক ভাবে সংকুচিত তহে না পারে (শতকরা ৬০-৭০ ভাগ রক্তক্ষরণ এ কারণে ঘটে থাকে)।
★গর্ভফুল বা এর অংশ জরায়ুর ভিতর রয়ে যায়।
★জরায়ু সার্ভিক্স, যৌনিপথ বা পেরিনিয়াম ছিড়ে যায় বা ক্ষত হয়।
★জরায়ু ফেটে যায়।
★রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা থাকে বা হয়।

প্রয়োজনীয় তথ্যঃ

★সন্তান প্রসবের পর যৌনিপথে প্রসাবের সাথে ৫০০ মিলিলিটার বা তার অধিক রক্তক্ষরণ হলে তাকে প্রসব-পরবর্তী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বলে।
★সন্তান প্রসবের পর যোনি পথে প্রসাবের সাথে ১০০০ মিলিলিটার এর বেশি রক্তক্ষরণ হলে তাকে প্রসব-পরবর্তী মারাত্মক রক্তক্ষরণ বলে।
★প্রসব পরবর্তী সময়ে যে কোন পরিমাণ রক্তক্ষরণে যদি মহিলার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে তবে তাকেও প্রসব পরবর্তী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বলা যাবে।
★আমাদের দেশে বেশির ভাগ মহিলাই রক্তস্বল্পতায় ভোগে এবং এদের অনেকেই আবার মারাত্মক রক্তস্বল্পতায় আক্রান্ত।
★মারাত্মক রক্তস্বল্পতায় আক্রান্ত মহিলাদের ক্ষেত্রে ২০০-৩০০ মিলিলিটার এর মত অল্প রক্তক্ষরণ ও মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সেজন্য রক্তস্বল্পতায় আক্রান্ত মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রসাবের আগে ও পরে সকল অবস্থাতেই অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
★পোশাক পরবর্তী অতিরক্ত রক্তক্ষরণ হলে একজন মায়ের খুব দ্রুত (মাত্র ২ ঘণ্টার মধ্যে) মৃত্যু হতে পারে। তাই যদি প্রসাবের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে থাকে তাহলে বিলম্ব না করে যত দ্রুত সম্ভব মাকে হাসপাতালে পাঠাতে হবে।
★অনেক সময় জরায়ুর ভিতরে রক্তক্ষরণ হতে থাকে এবং বেশিরভাগ সময়েই রক্তক্ষরণ বাইরে থেকে দেখা যায় না।
★এই রক্তক্ষরণ জমাট বেঁধে হঠাৎ করে যোনিপথে বের হয়, তাই এর ভয়াবহতা অনেক বেশি।
★পেটে বাচ্চা থাকা অবস্থায় এই বড়ি খেলে মা ও সন্তান উভয়ের যে ক্ষতি হতে পারে তা হল-
-অসম্পূর্ণ গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে।
-গর্ভের সন্তান মারা যেতে পারে।
-অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে মা মারা যেতে পারে।
-মায়ের জরায়ু কেটে যেতে পারে।

সতর্কতাঃ

★মিসোপ্রোস্টোল বড়ি খাওয়ানোর পরেও যদি প্রসব পরবর্তী রক্তক্ষরণ হতে থাকে তাহলে প্রসূতিকে আর মিসোপ্রোস্টোল খাওয়ানো যাবে না।
★কোন অবস্থাতেই গর্ভকালীন সময়ে (বাচ্চা প্রসবের পূর্বে) মিসোপ্রোস্টোল বড়ি খাওয়ানো যাবে না।
★অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের অন্যান্য কারণ নির্ণয়ের জন্য এবং তার যথোপযুক্ত ব্যবস্থাপনার জন্য প্রসূতিকে যত দ্রুত সম্ভব জরুরী প্রসূতি সেবা দেওয়া হয় এমন হাসপাতালে পাঠাতে হবে।
★★ভুলক্রমে বাচ্চা প্রসবের আগে অথবা জমজ বা ততোধিক বাচ্চার ক্ষেত্রে সকল প্রসাবের আগেই যদি মিসোপ্রোস্টোল বড়ি খেয়ে ফেলে তাহলে যা করতে হবেঃ-
-তাকে দ্রুত হাসপাতালে বা নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেখানে জরুরী প্রসূতি সেবা দেওয়া হয় সেখানে পাঠাতে হবে।
-গর্ভবতী অবস্থায় মহিলা যাতে ভুল করে বা ইচ্ছাকৃতভাবে মিসোপ্রোস্টোল বড়ি খেয়ে না ফেলে সেজন্য গর্ভ সময় ৩২ সপ্তাহ বা ৮ মাস পার হওয়ার পরই কেবল গর্ভবতী মহিলার কাছে মিসোপ্রোস্টোল বড়ি বিতরণ করতে হবে।
-কখন কিভাবে মিসোপ্রোস্টোল বড়ি খেতে হবে এবং গর্ভবতী অবস্থায় মিসোপ্রোস্টোল বড়ি খেলে কি ধরনের সমস্যা হতে পারে তা গর্ভবতী মহিলাকে বিস্তারিত জানাতে হবে।

বর্তমান কমিউনিটি ক্লিনিকে ২৭ প্রকার ঔষধ দেওয়া হয়।
ক্রঃ ঔষধের নাম পরিমান প্যাক
ট্যাবলেট এন্টাসিড ৬৫০ মিলি গ্রাম ৩,০০০ ৩ কার্টুন
ট্যাবলেট প্যারাসিটামল ৫০০ মিলি গ্রাম ৩,০০০ ৬ বক্স
ট্যাবলেট কোরামফেনিরামিন ৪ মিলি গ্রাম ১,৫০০ ৩ বক্স
ট্যাবলেট মেট্রোনিডাজল ৪০০ মিলি গ্রাম ৭৫০ ৩ বক্স
ট্যাবলেট ফিরাস ফিউমারেট এন্ড ফলিক এসিড ৩,০০০ ৩ বক্স
ট্যাবলেট ক্যালসিয়াম ল্যাকটেট ৩০০ মিলি গ্রাম ১,৫০০ ৩ বক্স
ট্যাবলেট ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ৩,০০০ ৬ বক্স
ট্যাবলেট এ্যালবেন্ডাজল ৪০০ মিলি গ্রাম ১২০ ১ বক্স
ট্যাবলেট জিংক ডিসপারসিবল ২০ মিলি গ্রাম ৫০০ ১ বক্স
১০ ট্যাবলেট সালবিটামল ২ মিলি গ্রাম ৫০০ ১ বক্স
১১ ট্যাবলেট কো-ট্রাইমোক্সাজল ১২০ মিলি গ্রাম ৫০০ ১ বক্স
১২ ট্যাবলেট কো-ট্রাইমোক্সাজল ৯৬০ মিলি গ্রাম ৫০০ ১ বক্স
১৩ ট্যাবলেট পেনিসিলিন ভি ২৫০ মিলি গ্রাম ১০০ ১ বক্স
১৪ ট্যাবলেট হাইওসিন বিউটাইল ব্রমাইড ১০ মিলি গ্রাম ৫০ ১ বক্স
১৫ ক্যাপসুল এ্যামোক্সাসিলিন ২৫০ মিলি গ্রাম ৫০০ ১ বক্স
১৬ ক্যাপসুল ভিটামিন এ ২,০০,০০০ আই ইউ ২০ ১ বক্স
১৭ সিরাপ এ্যামোক্সাসিলিন ড্রাই ১০০ মিঃ লিঃ ১২ ১ কার্টুন
১৮ সিরাপ প্যারাসিটামল ৬০ মিঃ লিঃ ৬০ ২ কার্টুন
১৯ সিরাপ কোরামফেনিরামিন ৬০ মিঃ লিঃ ২৪ ১ কার্টুন
২০ সিরাপ সালবিটামল ৬০ মিঃ লিঃ ২৪ ১ কার্টুন
২১ সিরাপ এ্যামোক্সাসিলিন পেঃ ড্রাপ ১৫ মিঃ লিঃ ১০ ১ কার্টুন
২২ বেনজাইল বেনজোয়েট অ্যাপ্লিকেশন ১০০ মিঃ লিঃ ১ কার্টুন
২৩ কোরাম ফেনিকল আই ড্রপ ০.৫%, ১০ মিঃ লিঃ ২৪ ২ বক্স
২৪ জেনসন ভায়োলেট ২%, ১০ মিঃ লিঃ ১০ ১ বক্স
২৫ বেনজাইল এন্ড সেলিসাইলিক এসিড ১ কেজি ১ টা
২৬ নিউমাইসিন অয়েন্টমেন্ট ১০ গ্রাম ১০ ১ বক্স
২৭ ও আর এস ৪৪০ ২ কার্টুন
২ মাসে ঔষধের পরিমান। ২ মাসের এক সাথে আসে।

 

বিস্তারিত

কমিউনিটি ক্লিনিক ঔষধ ব্যবহার নির্দেশিকা

১. এমোক্সিসিলিন ক্যাপসুল

Amoxicillin Capsule 250 mg
(এমোক্সিসিলিন ক্যাপসুল ২৫০ মিলিগ্রাম)

যে উপসর্গ বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ
বিভিন্ন ধরনের সংক্রামন বা প্রদাহ বা ইনফেকশন। (১) শ্বাসতন্ত্র ( যেমন- নিউমোনিয়া) (২) মুখ ও মুখগহ্বর (৩) কান, নাক ও গলা (৪) পিত্তথলি (৫) মূত্রতন্ত্র (৬) ত্বক।

সেবন মাত্রাঃ

১২ বছরের বেশি বয়সের জন্য প্রযোজ্যঃ ২৫০ মিলিগ্রাম এর ১ টি অথবা ২ টি ক্যাপসুল প্রতিদিন ৩ বার অর্থাৎ ৮ ঘন্টা পর পর ৫ দিন সেব্য। খাওয়ার আগে বা পরে যেকোনো সময় সেবন করা যায়। ( ওজন ৪০ কেজির কম হলে ২৫০ মিলিগ্রাম এর ১ টি ক্যাপসুল এবং ৪০ কেজির বেশি হলে ২ টি ক্যাপসুল ৮ ঘণ্টা পর পর।)

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) এই ঔষধটিতে এলার্জি বা সংবেদনশীলতা এবং পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) এলার্জি যেমন ত্বকে ফুসকুড়ি, লালচে বর্ণ ধারণ, চুলকানি
(২) বমি বমি ভাব অথবা বমি হওয়া।
(৩) পাকস্থলীর অস্বাচ্ছন্দ্য।
(৪) ডাইরিয়া।
(৫)মাথাধরা।

সাবধানতাঃ

(১) প্রদান/ব্যবহারের পূর্বে ঔষদের মেয়াদ দেখে নিতে হবে।
(২) ওষুধ দেওয়ার আগে রোগীকে জিজ্ঞাসা করুন এর আগে এই ধরনের ওষুধ খেয়েছিলেন কি না। যদি খেয়ে থাকেন তাহলে কোন প্রকার এলার্জি বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছিল কি না।
(৩) এটি একটি এন্টিবায়োটিক ঔষধ কোনভাবেই এটি খাবার যে নিয়ম তার ব্যতিক্রম করা যাবেনা। যে কয়দিন যেভাবে খেতে বলা হয়েছে সেই কয়দিন সেভাবেই খেতে হবে।

মন্তব্যঃ

(১)পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলি সামরিক ঔষধ খাওয়া বন্ধ করার পর ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যায়।
(২) অবস্থার উন্নতি না হলে রোগীকে দেখুন রেফার করে দিতে হবে।

২. এমোক্সিসিলিন পেডিয়াট্রিক ড্রপ

Amoxicillin Peadiatric Drop (125 mg/1.25 ml) – 10 ml ( এমোক্সিসিলিন পেডিয়াট্রিক ড্রপ ১২৫ মিলিগ্রাম/১.২৫ মিলিলিটার) – ১০ মিলিলিটার।

যে উপসর্গ বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

বিভিন্ন ধরনের সংক্রামন বা প্রদাহ বা ইনফেকশন। (১) শ্বাসতন্ত্র ( যেমন- নিউমোনিয়া) (২) মধ্য কর্ন (৩) সাইনাস (যেমন- সাইনোসাইটিস) (৪) টনসিল (যেমন- টনসিলাইটিস) (৫) গলা (৬) মুত্রতন্ত্র।

সেবন মাত্রাঃ

(প্রতি কেজি ওজনের জন্য ২০ থেকে ৪০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন ৮ ঘন্টা পরপর বিভক্ত ডোজে।)
★ জন্ম থেকে ২ মাস পর্যন্ত বয়সের শিশুদের জন্যঃ ০.৬ মি. লি. অর্থাৎ প্রদত্ত ড্রপারের ২ দাগ পরিমাণ ১২ ঘন্টা পর পর অর্থাৎ দিনে ২ বার ৫ থেকে ৭ দিন সেব্য।
★ ২ মাস থেকে ১২ মাস বয়সের শিশুদের জন্যঃ ১.২৫ মি. লি পর্যন্ত অর্থাৎ প্রদত্ত ড্রপারের ৪ দাগ পরিমাণ ৮ ঘন্টা পর পর অর্থাৎ দিনে ৩ বার ৫ থেকে ৭ দিন সেব্য।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) এলার্জি বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া (পেনিসিলিনে এলার্জি বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকা রোগীদের দেয়া যাবে না।)

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) এলার্জি যেমন স্কিন রেশ বা ত্বকে ফুসকুড়ি, লালচে হওয়া, চুলকানি।
(২) বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
(৩) পাকস্থলীর অস্বাচ্ছন্দ্য বা স্টোমাক ডিসকমফোর্ট।
(৪) ডাইরিয়া।
(৫)মাথাধরা।

সাবধানতাঃ

(১) প্রদান / ব্যবহারের পূর্বে ঔষধের মেয়াদ দেখে নিতে হবে। কোনভাবেই মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ ব্যবহার করা যাবে না।
(২) সঠিকভাবে ঔষধটি নিরাপদ পানিতে গুলিয়ে নিতে হবে।
(৩) প্রতিবার ব্যবহারের পূর্বে ঔষধটি হালকাভাবে ঝাঁকিয়ে নিতে হবে, যাতে ভালোভাবে মিশে যায়।
(৪) ঔষধ দেওয়ার আগে মা/ অভিভাবকে জিজ্ঞাসা করুন পূর্বে এই ধরনের ঔষধ খাওয়ানো হয়েছে কি না। যদি খাওয়ানো হয়ে থাকে তাহলে কোন প্রকার এলার্জি বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল কি না।
(৫) এটি একটি এন্টিবায়োটিক ঔষধ কোন ভাবেই এটি খাওয়ার নিয়মের ব্যতিক্রম করা যাবে না। যে কয়দিন যেভাবে খেতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে, সে কয়দিন সেভাবেই খাওয়াতে হবে।
(৬) ঔষধ গোলানোর পর ৭ দিনের বেশি রাখা যাবেনা।

মন্তব্যঃ

(১)পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলি সামরিক ঔষধ খাওয়া বন্ধ করার পর ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যায়।
(২) অবস্থার উন্নতি না হলে রোগীকে দেখুন রেফার করে দিতে হবে।

৩. এমোক্সিসিলিন ড্রাই সিরাপ

Amoxicillin Dry Syrup (125 mg / 5 ml) – 100 ml ( এমোক্সিসিলিন ড্রাই সিরাপ ১২৫ মিলিগ্রাম/ ৫ মিলিমিটার) – ১০০ মিলিলিটার।

যে উপসর্গ বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

বিভিন্ন ধরনের সংক্রামন বা প্রদাহ বা ইনফেকশন। (১) শ্বাসতন্ত্র ( যেমন- নিউমোনিয়া) (২) মধ্য কর্ন (৩) সাইনাস (যেমন- সাইনোসাইটিস) (৪) টনসিল (যেমন- টনসিলাইটিস) (৫) গলা (৬) মুত্রতন্ত্র।

সেবন মাত্রাঃ

★ ২ মাস থেকে ১২ মাস বয়সের শিশুদ জন্যঃ ১ চামচ করে ৮ ঘন্টা পর পর অর্থাৎ দিনে ৩ বার – ৫ দিন সেব্য।
★ ১২ মাস থেকে ১২ বছর বয়সের শিশুদের জন্যঃ ১ থেকে ২ চামচ করে ৮ ঘন্টা পর পর অর্থাৎ দিনে ৩ বার – ৫ দিন সেব্য।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) ঔষধের সংবেদনশীলতা বা এলার্জি থাকলে (পেনিসিলিনে এলার্জি থাকা রোগীদের দেয়া যাবে না।)

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) এলার্জি যেমন ত্বকে ফুসকুড়ি, লালচে বর্ণ ধারণ, চুলকানি
(২) বমি বমি ভাব অথবা বমি হওয়া।
(৩) পাকস্থলীর অস্বাচ্ছন্দ্য।
(৪) ডাইরিয়া।
(৫) মাথাধরা।

সাবধানতাঃ

(১) প্রদান / ব্যবহারের পূর্বে ঔষধের মেয়াদ দেখে নিতে হবে। কোনভাবেই মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ ব্যবহার করা যাবে না।
(২) সঠিকভাবে ঔষধটি নিরাপদ পানিতে গুলিয়ে নিতে হবে।
(৩) প্রতিবার ব্যবহারের পূর্বে ঔষধটি হালকাভাবে ঝাঁকিয়ে নিতে হবে, যাতে ভালোভাবে মিশে যায়।
(৪) ঔষধ দেওয়ার আগে মা/ অভিভাবকে জিজ্ঞাসা করুন পূর্বে এই ধরনের ঔষধ খাওয়ানো হয়েছে কি না। যদি খাওয়ানো হয়ে থাকে তাহলে কোন প্রকার এলার্জি বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল কি না।
(৫) এটি একটি এন্টিবায়োটিক ঔষধ কোন ভাবেই এটি খাওয়ার নিয়মের ব্যতিক্রম করা যাবে না। যে কয়দিন যেভাবে খেতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে, সে কয়দিন সেভাবেই খাওয়াতে হবে।
(৬) ঔষধ গোলানোর পর ৭ দিনের বেশি রাখা যাবেনা।

মন্তব্যঃ

(১)পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলি সামরিক ঔষধ খাওয়া বন্ধ করার পর ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যায়।
(২) অবস্থার উন্নতি না হলে রোগীকে দেখুন রেফার করে দিতে হবে।

৪. এন্টাসিড চুষে খাবার বড়ি

Antacid Chewable Tablet, 650 mg ( এন্টাসিড চুষে খাবার বড়ি, ৬৫০ মিলিগ্রাম। ঔষধটিতে থাকে এ্যলুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড ২৫০ মিলিগ্রাম ও ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড ৪০০ মিলিগ্রাম।)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) পেপটিক আলসার। (২) আতিরক্ত আম্ল নিঃসরণ (হাইপারএসিডিটি) (৩) গলা বুক জ্বালাপোড়া (হার্ট বার্ন) (৪) ক্ষুধামন্দা (৫) টক ঢেকুর উঠা।

সেবন বিধিঃ

১-২ টা বড়ি দিনে ৩ থেকে ৪ বার চুষে খাবে (খাওয়ার আধা ঘন্টা পূর্বে আথবা ১ ঘন্টা পরে)।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) পাতলা পাইখানা (২) কোষ্ঠকাঠিন্য

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) ক্ষুধামন্দা (২) পাতলা পায়খানা (৩) কোষ্ঠকাঠিন্য।

সাবধানতাঃ

বিশেষ কোনো সাবধানতার প্রয়োজন নেই। ঔষধের পরিমাণ একটু কম বেশি হলে তেমন অসুবিধা হয় না।

মন্তব্যঃ

এন্টিবায়োটিক এর ক্ষেত্রে যেমন খুব নিয়ম মেনে চলতে হয় এক্ষেত্রে তেমনটি নয় সমস্যা কমে গেলে এটির ডোজ কমানো যায় বা বন্ধ করে দেওয়া যায়।

৫. এ্যালবেন্ডাজল চুশে খাবার বড়ি

Albendazole Chewable Tablet, 400 mg
( এ্যালবেন্ডাজল চুশে খাবার বড়ি, ৪০০ মিলিগ্রাম)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) কেঁচো কৃমি ওয়ার্ম (২) বক্রকৃমি বা হুক ওয়ার্ম (৩) সুতা কৃমি বা পিন ওয়ার্ম বা থ্রেড ওয়ার্ম।

সেবন মাত্রাঃ

১ টি ট্যাবলেট ১ বার চুষে খাবে। ভরা পেটে সেব্য।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) গর্ভাবস্থায়।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
(২) পাকস্থলীর অস্বাচ্ছন্দ্য ও পেটে ব্যথা।
(৪) ডাইরিয়া।

সাবধানতাঃ

২ বছরের নিচের শিশুকে এ্যালবেন্ডাজল বড়ি না দিয়ে এ্যালবেন্ডাজল সাসপেনশন দিতে হবে।

মন্তব্যঃ

(১) প্রতি ৬ মাসে একবার খাওয়া ভাল।
(২) স্বাস্থ্য বিভাগের (এন এন এস পরিচালিত) কর্মসূচির আওতায় ৬ মাস অন্তর, ২ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের ১ টি করে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। এ ছাড়া (সিডিসি পরিচালিত) কর্মসূচির আওতায় ৬ মাস অন্তর, ৬ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের ১ টি করে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়।

৬. বেনজয়িক & স্যালিসাইলিক এসিড মলম

Benzoic & Salicylic Acid Ointment – 1 kg
(বেনজয়িক & স্যালিসাইলিক এসিড মলম – ১ কেজি)। এটি ৬% বেনজয়িক এসিড এবং ৩% স্যালিসাইলিক এসিড এর মিশ্রণে তৈরি অয়েন্টমেন্ট

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) দাগ ও অন্যান্য ছত্রাকের সংক্রমণ।

ব্যবহারের নিয়মঃ

দিনে ২ থেকে ৩ বার আক্রান্ত স্থানে ২ থেকে ৪ সপ্তাহ ব্যবহার করতে হবে। লাগানোর পূর্বে আক্রান্ত স্থান হালকা গরম পানিতে ধুয়ে এবং পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১)কাটা জায়গা।
(২) চোখ।
(৩) মুখগহবর।
(৪) যোনিপথ।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) ব্যবহারের স্থানে জ্বালাপোড়া।
(২) প্রদাহ বা ইনফ্লামেশনর কারণে আক্রান্ত স্থান লালচে বর্ণ হওয়া।
(৩) চুলকানি।

সাবধানতাঃ

যদি নির্দিষ্ট এই ঔষধটিতে এলার্জি বা পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হয় তাহলে এটি ব্যবহার করা যাবে না।

মন্তব্যঃ

শুধুমাত্র বাহ্যিক ব্যবহারের জন্য।

৭. বেনজাইল বেনজয়েট এপ্লিকেশন

Benzyl Benzoate Application (25% W/V) 100 ml
(বেনজাইল বেনজয়েট এপ্লিকেশন, ২৫%, ১০০ মিলি)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) স্ক্যাবিস এর কারণে চুলকানি।

ব্যবহারের নিয়মঃ

এটি খাবার ঔষুধ নয়। শুধুমাত্র বাহ্যিক ব্যবহারের জন্য। প্রথম দিন ঔষধটি শরীরে লাগানোর পূর্বে ভালো করে গোসল করে শরীর শুকিয়ে নিতে হবে। পরপর ৩ দিন ২ বার করে (সকালে ও রাতে) মুখমন্ডল ব্যতীত সারা গায়ে লাগাতে হবে। চতুর্থ দিনে ভালো করে গোসল করতে হবে। প্রথম এবং চতুর্থ দিনের মধ্যবর্তী দিনগুলোতে গোসল করা যাবে না। বাড়ির আক্রান্ত সবাই একই সাথে ঔষধটি ব্যবহার করবে। চতুর্থ দিনে জামা-কাপড়, চাদর, কাঁথা, মশারি ইত্যাদি সিদ্ধ করে ভালোভাবে ধুয়ে কড়া রোদে শুকিয়ে তারপর ব্যবহার করতে হবে।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১)কাটা জায়গা।
(২) চোখ।
(৩) মুখমন্ডল।
(৪) যোনিপথ।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) শরীর জ্বালাপোড়া করতে পারে।
(২) এলার্জি যেমন, ত্বকে ফুসকুড়ি ও লালচে বর্ণ ধারণ করতে পারে।

সাবধানতাঃ

কোনো ভাবেই মুখে খাওয়া যাবে না।

মন্তব্যঃ

এটি একটি দুর্গন্ধযুক্ত। ব্যবহারের পর কাপড়-চোপড়, বিছানা-পত্র সবকিছু ভালো করে ধুয়ে কড়া রোদে শুকিয়ে ব্যবহার করতে হবে।

৮. ক্যালসিয়াম ল্যাকটেট বড়ি

Calcium Lactate Tablet, 300 mg
(ক্যালসিয়াম ল্যাকটেট বড়ি, ৩০০ মিলিগ্রাম)


যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) গর্ভাবস্থায় (প্রথম তিন মাস ব্যতীত) (২) স্তন্যদায়ী মা (৩) বাড়ন্ত শিশু (৪) বয়সের কারণে মাসিক বন্ধ হওয়ার পর (৫) হাটু/ কোমর /ঘাড়ে ব্যথা (৬) বয়স বেশি হওয়ার কারণে অস্তিয় বা হাড়ের ক্ষয় জনিত রোগ।

সেবন মাত্রাঃ

★ প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য (বয়স ১২ বছরের বেশি): ১ টি বড়ি দিনে ২ থেকে ৩ বার সেব্য। কমপক্ষে ১ মাস ব্যবহার করতে হবে।
★ অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য (বয়স ১২ বছরের কম ): ১ টি বড়ি দিনে ১ বার সেব্য। কমপক্ষে ১ মাস ব্যবহার করতে হবে।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) কোষ্ঠকাঠিন্য।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) খালি পেটে খেলে এসিডিটি বেড়ে যেতে পারে। (২) ক্ষুধামন্দা (৩) কোষ্ঠকাঠিন্য

সাবধানতাঃ

বিশেষ কোনো সাবধানতার প্রয়োজন নাই। ওষুধের পরিমাণ একটু কম বেশি হলে তেমন অসুবিধা হয় না।

মন্তব্যঃ

এটাই শরীরের ক্যালসিয়াম বৃদ্ধি করে বলে অস্থি মজবুত হয়।

৯. ক্লোরফেনিরামিন ম্যালিয়েট বড়ি

Chlorpheniramine Maleate Tablet, 4 mg
(ক্লোরফেনিরামিন ম্যালিয়েট বড়ি, ৪ মিলিগ্রাম)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) চুলকানি (২) সাধারণ সর্দি কাশি (৩) পোকা মাকড়ের কামড়ের কারণে চুলকানি (৪) মোশন সিকনেস বা ভ্রমণকালে বমি বমি ভাব। (৫) এলার্জি জনিত কারণে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।

সেবন মাত্রাঃ

★ ৬ বছর থেকে ১২ বছর বয়স্কদের ক্ষেত্রেঃ অর্ধেক (½) বড়ি দিনে ৩ বার বা ৮ ঘন্টা পরপর।
★ পূর্ণ বয়স্ক দের ক্ষেত্রেঃ ১ টি বড়ি দিনে ৩ বার বা ৮ ঘন্টা পর পর।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) জানা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। (২) গ্লুকোমা বা চোখের উচ্চচাপ।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) তন্দ্রাচ্ছন্ন ঘুম ঘুম ভাব (২) দুর্বল লাগা (৩) মুখ ও গলা শুকিয়ে যাওয়া (৪) চোখে ঝাপসা দেখা।

সাবধানতাঃ

২ মাসের কম বয়সী শিশুদের ঔষধটি দেওয়া যাবে না।

মন্তব্যঃ

(১) ঘুম ঘুম ভাব হয় বিধায় যারা গাড়ি চালায় তাদের ক্ষেত্রে এই বিষয়ে সাবধান করে দেওয়া উচিত।
(২) ৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে সিরাপ ব্যবহার করা ভালো।

১০. ক্লোরফেনিরামিন সিরাপ

Chlorpheniramine Syrup (2 mg/ 5 ml) – 100 ml
(ক্লোরফেনিরামিন সিরাপ, ২ মি.গ্রা/৫ মিলি – ১০০ মিলি)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) চুলকানি (২) সাধারণ সর্দি কাশি (৩) পোকা মাকড়ের কামড়ের কারণে চুলকানি (৪) ভ্রমণকালে বমি বমি ভাব (মোসন সিকনেস)। (৫) এলার্জি জনিত কারণে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।

সেবন মাত্রাঃ

★ ১ বছর থেকে ২ বছরঃ অর্ধেক (½) চা চামচ দিনে ২ থেকে ৩ বার বা ৮ থেকে ১২ ঘন্টা অন্তর।
★ ২ বছর থেকে ৬ বছরঃ অর্ধেক (½) চা চামচ দিনে ৩ বার বা ৮ ঘন্টা অন্তর।
★ ৬ বছর থেকে ১২ বছরঃ ১ চা চামচ দিনে ৩ বার বা ৮ ঘন্টা অন্তর।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) তন্দ্রাচ্ছন্ন ঘুম ঘুম ভাব (২) দুর্বল লাগা (৩) মুখ ও গলা শুকিয়ে যাওয়া (৪) চোখে ঝাপসা দেখা। (৫) কোষ্ঠকাঠিন্য।

সাবধানতাঃ

ঔষধটি খেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ না করা ভালো।

মন্তব্যঃ

পরিমাণে যেন বেশি না খাওয়া হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।

১১. কো-ট্রাইমক্সজল বড়ি ১২০ মিলিগ্রাম

Cotrimoxazole Tablet, 120 mg
(কো-ট্রাইমক্সজল বড়ি, ১২০ মিলিগ্রাম)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ। শ্বাসতন্ত্র (যেমন- নিউমোনিয়া) মূত্রতন্ত্র, পরিপাকতন্ত্র (যেমন- পাতলা পায়খানা), ত্বক ইত্যাদির সংক্রমণ। এছাড়াও টাইফয়েড ও প্যারাটাইফয়েড জ্বর গনোরিয়া ইত্যাদি।

সেবন মাত্রাঃ

★ ২ মাস থেকে ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শিশুদের ক্ষেত্রেঃ ১টি বড়ি পানিতে গুলিয়ে ১২ ঘন্টা পর পর বা দিনে ২ বার – ৫ দিন সেব্য।
★ ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের ক্ষেত্রেঃ ২টি বড়ি পানিতে গুলিয়ে ১২ ঘন্টা পর পর বা দিনে ২ বার- ৫ দিন সেব্য।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) গর্ভাবস্থায় (২) অকার্যকর কিডনী ও লিভার সমস্যা।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া
(২) ক্ষুধামন্দা
(৩) এলার্জির কারণে ত্বকে চুলকানি বা দাগ হওয়া।

সাবধানতাঃ

কোনভাবেই এটির খাবার নিয়মের ব্যতিক্রম করা যাবে না যে কয়দিন যেভাবে খেতে বলা হয়েছে সেই কয়দিন সেভাবেই খেতে হবে।

মন্তব্যঃ

ঔষধটি খেতে একটু তিতা লাগে এজন্য গুলিয়ে খাবার জন্য এর সাথে একটু চিনি, মধু ইত্যাদি মিষ্টি জাতীয় কিছু মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে। ঔষধটির সাথে পানি বেশি খেতে হবে।

১২. কো-ট্রাইমক্সজল বড়ি ৯৬০ মিলিগ্রাম

Cotrimoxazole Tablet, 960 mg
(কো-ট্রাইমক্সজল বড়ি, ৯৬০ মিলিগ্রাম)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ বা প্রদাহ বা ইনফেকশন। (১) শ্বাসতন্ত্র (যেমন- নিউমোনিয়া) (২) মূত্রতন্ত্র (৩) পরিপাকতন্ত্র (যেমন- পাতলা পায়খানা)। (৪) ত্বক। এছাড়াও (৫) টাইফয়েড ও প্যারাটাইফয়েড জ্বর। (৬) গনোরিয়া।

সেবন মাত্রাঃ

★প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রেঃ ১টি ট্যাবলেট দিনে ২ বার বা ১২ ঘণ্টা পর ৫ দিন সেব্য।
★ ৬ থেকে ১২ বছর বয়স্কদের ক্ষেত্রেঃ অর্ধেক (১/২) ট্যাবলেট দিনে ২ বার বা ১২ ঘন্টা পর পর ৫ দিন সেব্য। খাওয়ার পরে খাওয়া উত্তম।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) গর্ভকালীন সময় (২) অকার্যকর কিডনি ও লিভার সমস্যা।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া।
(২) ক্ষুধামন্দা।
(৩) এলার্জির কারণে ত্বকে চুলকানি বা দাগ হওয়া।

সাবধানতাঃ

(১) এটি একটি কেমোথেরাপিউটিক ঔষধ। কোনভাবেই এটি খাবার নিয়মের ব্যতিক্রম করা যাবে না। যে কয়দিন যেভাবে খেতে বলা হয়েছে সে কয়দিন সেভাবেই খেতে হবে। (২) গর্ভকালীন সময়ে কোনভাবেই ওষুধ খাওয়া যাবে না। (৩) বেশি পানি খেতে হবে। (৪) রোগীকে জিজ্ঞাসা করতে হবে, এই ধরনের কোন ঔষধ খাবার কারণে পূর্ব কোন এলার্জি বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়েছিল কিনা। (৫) এলার্জি বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে ঔষধ বন্ধ করে রোগীকে উচ্চতর পর্যায়ে রেফার করতে হবে।

মন্তব্যঃ

(১) বড়ি ভেঙ্গে বাচ্চাদেরকে দিতে হলে পরিমাণের ব্যাপারে সতর্কতা অবশ্যক। (২) বাচ্চা রোগীদেরকে এই ঔষধটি না দিয়ে কো-ট্রিমক্সাজল (১২০ মিলিগ্রাম) ট্যাবলেট দেওয়া ভালো। এতে বড়ি ভাঙ্গার প্রয়োজন হবে না।

১৩. ক্লোরামফেনিকল চোখের ড্রপ

Chloramphenicol Eye Drop 0.5%, – 10 ml
(ক্লোরামফেনিকল চোখের ড্রপ ০.৫%, – ১০ মিলি)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) চোখের প্রদাহ বা চোখ ওঠা বা কনজাংটিভাইটিস
(২) চোখ লাল হয়ে যাওয়া।

ব্যবহার বিধিঃ

৩ ফোঁটা করে ২ থেকে ৪ ঘণ্টা পরপর প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ বার চোখে ব্যবহার করতে হবে। ৭ দিনের বেশি ব্যবহার করা যাবে না।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

অতিসংবেদনশীলতা বা হাইপারসেনসিটিভিটি।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

বিশেষ কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

সাবধানতাঃ

যদি এই নির্দিষ্ট ঔষধটিতে এলার্জি থাকে তবে ব্যবহার করা যাবে না।

মন্তব্যঃ

এটি শুধুমাত্র চোখে ব্যবহারের জন্য।

১৪. ফেরাস ফিউমারেট এন্ড ফলিক এসিড বড়ি

Ferrous Fumarate & Folic Acid Tablet, 200.4 mg (ফেরাস ফিউমারেট এন্ড ফলিক এসিড ট্যাবলেট, ২০০.৪ মিলিগ্রাম)। ঔষধটিতে আছে ফেরাস ফিউমারেট ২০০ মিলিগ্রাম এবং ফলিক এসিড ০.৪ মিলিগ্রাম।

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) গর্ভকালীন (২) প্রসবোত্তর বা সন্তান দানকারী মা (৩) আয়রনের অভাবে রক্ত স্বল্পতা (৪) মুখ বা জিহ্বার ঘা দেখা দিলে।

সেবন মাত্রাঃ

★ ১ বছর থেকে ৪ বছর বয়স পর্যন্তঃ অর্ধেক (½) ট্যাবলেট দিনে ২ বার ১২ ঘন্টা পরপর।
★ ৪ বছর থেকে ১২ বছর বয়স পর্যন্তঃ ১টি ট্যাবলেট দিনে ২ বার বা ১২ ঘন্টা পর পর।
★ প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রেঃ ১ টা ট্যাবলেট দিনে ৩ বার বা ৮ঘন্টা পর পর। ঔষধটি ভরা পেটে খাওয়া ভালো।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) কোষ্ঠকাঠিন্য (২) ডায়রিয়া।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) বমি বমি ভাব বা বমি (২) বুক জ্বালা (৩) ডায়রিয়া (৪) কোষ্ঠকাঠিন্য।

সাবধানতাঃ

বিশেষ কোনো সাবধানতার প্রয়োজন নেই। ঔষধের পরিমাণ একটু কম বেশি হলে তেমন অসুবিধা হয়না। মল কালো হতে পারে এটা স্বাভাবিক।

মন্তব্যঃ

(১) রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়তে সাহায্য করে এই জন্য ঔষধটি দীর্ঘদিন খাওয়া যায়। (২) মুখে বা জিহবায় ঘা হলে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এর সাথে খাওয়া যেতে পারে।

১৫. জেনসন ভায়োলেট

Gentian Violet 2% Topical Solution, 10 ml
(জেনসন ভায়োলেট ২% বাহ্যিক ব্যবহারের সল্যুশন, ১০ মিলিলিটার)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) ত্বকে ছত্রাকের সংক্রমণ বা ইনফেকশন (২) আচড় বা কাটাছেঁড়া (৩) মুখগহব্বরে ছত্রাকের সংক্রমণ বা ইনফেকশন (ক্যানডিডিয়াসিস)

সেবন মাত্রাঃ

★ মুখগহব্বরে ছত্রাকের সংক্রমণ বা ইনফেকশন (ক্যানডিডিয়াসিস) হলে ঔষধটি দিয়ে কুলকুচি করতে হবে।
– দিনে ৩ থেকে ৪ বার, ৫ দিন।
★ অন্যান্য ক্ষেত্রে দিনে ২ থেকে ৩ বার (আক্রান্ত বা ক্ষতস্থানে) – – ৫ দিন ব্যবহার করতে হবে।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) চোখ।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই তবে নির্দিষ্ট ওষুধে এলার্জি হতে পারে।

সাবধানতাঃ

কাপড়ের দাগ লেগে যেতে পারে। এজন্য সাবধান থাকা ভাল।

মন্তব্যঃ

(১) শুধুমাত্র বাহ্যিক ব্যবহারের জন্য। (২) ত্বকে ছত্রাকের সংক্রমণ সাধারণতঃ হাত বা পায়ের আঙ্গুলের মধ্যবর্তী স্থানে দেখা যায়, তবে শরীরের অন্যত্রও হতে পারে।

১৬. হাইয়োসিন বিউটাইল ব্রোমাইড বড়ি

Hyoscine Butyl Bromide Tablet, 10 mg
(হাইয়োসিন বিউটাইল ব্রোমাইড বড়ি, ১০ মিলিগ্রাম)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) তলপেটে ব্যথা; যেমন মাসিকের সময় অস্বাভাবিক ব্যথা।
(২) গ্যাস্ট্রিক/ ডিওডেনাল আলসারের ব্যথা।
(৩) মূত্রনালী মূত্রথলির ব্যথা। (৪) পিত্তশুল বা পিত্তাশয়ের ব্যাথা।

সেবন মাত্রাঃ

১ টি থেকে ২ টি বড়ি দিনে ৩ বার বা ৮ ঘন্টা পর পর সেব্য। ব্যথা কম হলে প্রয়োজনে অর্ধেক বড়িও খাওয়া যেতে পারে। ব্যথা কমে গেলে খাবার দরকার নেই। খালি পেটে খাওয়া ভাল।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) কোষ্ঠকাঠিন্য। (২) বয়স্ক পুরুষ যাদের প্রোষ্টেট বেড়ে যাওয়ায় প্রস্রাব বেধে বেধে হয়। (৩) গ্লুকোমা বা চোখের উচ্চচাপ।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) বমি বমি ভাব (২) পেটে অস্বস্তি বোধ হওয়া (৩) কোষ্ঠকাঠিন্য (৪) মুখ শুকিয়ে যাওয়া। (৫) চোখে ঝাপসা দেখা। (৬) প্রসাব করতে বেশী সময় লাগে।

সাবধানতাঃ

বিশেষ কোন সাবধানতার প্রয়োজন নেই।

মন্তব্যঃ

এন্টিবায়োটিক ঔষধের মতো নিয়ম না মানলেও খুব একটা অসুবিধা হয় না৷ এটি শরিরের নরম মাংসপেশীর সংকোচন বাধা সৃষ্টি করে ব্যথা কমতে সাহায্য করে।

১৭. মেট্রোনিডাজল বড়ি

Metronidazole Tablet, 400 mg
(মেট্রোনিডাজল বড়ি, ৪০০ মিলিগ্রাম)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) আমাশয় (২) অতিরিক্ত সাদা স্রাব (৩) জরায়ুতে প্রদাহ বা ইনফেকশন (৪) লিভার অ্যাবসেস (৫) এ্যানোরবিক ইনফেকশন বা শরীরের ভিতরের প্রদাহ বা অক্সিজেন ছাড়াই সংঘটিত হয়।

সেবন মাত্রাঃ

★ ৬ বছর থেকে ১২ বছর বয়স্ক শিশুদের ক্ষেত্রেঃ অর্ধেক (½) ট্যাবলেট ৮ ঘণ্টা পরপর বা দিনে ৩ বার – খাওয়ার পরে ৫ দিন সেব্য।
★ প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রেঃ ১টি ট্যাবলেট ৮ ঘন্টা পর পর দিনে ৩ বার। খাবার পরে ৫ দিন সেব্য।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) গর্ভাবস্থায়।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) বমি বমি ভাব বা বমি। (২) অরুচি (৩) ধাতব স্বাদ বা মেটালিক টেস্ট (৪) কোষ্ঠকাঠিন্য।

সাবধানতাঃ

এটি একটি এন্টিএ্যামিবিক ঔষধ। কোনভাবেই এটি খাবার যে নিয়ম তার ব্যতিক্রম করা যাবেনা যে কয়দিন কিভাবে খেতে বলা হয়েছে সে কয়দিন সেভাবেই খেতে হবে।

মন্তব্যঃ

ঔষধ খাবার কারণে খাবারের স্বাভাবিক স্বাদ বদলে যেতে পারে এটাকে মেটালিকস বলে। ঔষধ খাওয়া শেষ হয়ে গেলে কয়েক দিনের মধ্যে আবার তা ঠিক হয়ে যায়।

১৮. নিওমাইসিন & বেসিট্রাসিন ত্বকের মলম

Neomycin & Bacitracin Skin Ointment, 10 mg
(নিওমাইসিন & বেসিট্রাসিন ত্বকের মলম, ১০ গ্রাম)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) আগুনে পোড়া বা বিদ্যুৎস্পৃষ্টতার কারণে সৃষ্ট ক্ষত (২) জীবাণু দ্বারা সৃষ্ট ক্ষত (৩) শরীরে কোথাও কেটে গেলে (৪) ত্বকের প্রদাহ।

ব্যাবহার বিধিঃ

দিনে ২ থেকে ৩ বার – ৫ থেকে ৭ দিন ক্ষত স্থানে ব্যবহার করতে হবে।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) চোখ (২) মুখগহব্বর (৩) যৌনী পথ।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

এই নির্দৃষ্ট ঔষধে এলার্জি যেমন ত্বকে র‍্যাস বা ফুসকুড়ি, ত্বক লালচে হয়ে যাওয়া, চুলকানি।

সাবধানতাঃ

এটি একটি এন্টিবায়োটিক ঔষধ সুতরাং নিয়ম মত ব্যবহার করতে হবে।

মন্তব্যঃ

শুধুমাত্র বাহ্যিক ব্যবহারের জন্য।

১৯. ওআরএস – ওরাল রিহাইড্রেশন সল্ট

ORS – Oral Rehydration Salt
(ওআরএস – ওরাল রিহাইড্রেশন সল্ট)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা অথবা বমির কারণে শরীরে পানি স্বল্পতা।

সেবন মাত্রাঃ

এক প্যাকেট ওরাল স্যালাইন আধা লিটার নিরাপদ পানিতে গুলিয়ে নিতে হবে এবং প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর যতটুকু সম্ভব ততটুকু খেতে দিতে হবে।

ব্যবহার সময়সীমাঃ

তৈরিকৃত স্যালাইন ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত পান করা যাবে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

সাবধানতাঃ

(১) উচ্চ রক্তচাপ থাকলে সর্তকতা অবলম্বন করে স্যালাইন পান করতে হবে। (২) খেয়াল রাখতে হবে যেন প্রয়োজনীয় পাত্র, চামচ ইত্যাদি জীবাণুমুক্ত থাকে। (৩) স্যালাইন তৈরির পূর্বে হাত ভালো করে সাবান দিয়ে নিরাপদ পানিতে ধুয়ে নেওয়া আবশ্যক। (৪) মিশ্রণ এর অনুপাত যেন ঠিক থাকে সে ব্যাপারে সাবধান থাকা অবশ্যক।

মন্তব্যঃ

চরম পানিস্বল্পতার লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই রেফার করতে হবে। ডায়বেটিস (বহুমূত্র) রোগ থাকলে রোগীকে রেফার করতে হবে।

২০. প্যারাসিটামল বড়ি

Paracetamol Tablet, 500 mg
(প্যারাসিটামল বড়ি, ৫০০ মিলিগ্রাম)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) জ্বর (২) যেকোনো ধরনের স্বল্প থেকে মাঝারি ব্যথা। যেমন- মাথাব্যথা, কানে ব্যথা, শরীর ব্যথা, দাঁত ব্যথা, বাতের ব্যথা, ঋতুস্রাবের ব্যথা ইত্যাদি।

সেবন মাত্রাঃ

★ ১ বছর থেকে ৫ বছর বয়স পর্যন্তঃ ১টি বড়ির চার ভাগের এক ভাগ (¼) থেকে অর্ধেক (½) বড়ি ৬ ঘণ্টা পরপর দিনে ৪ বার। জ্বর বা ব্যথা বেশি হলে ৪ ঘণ্টা পরপর বার দিনে ৬ বার।
★ ৫ বছর থেকে ১২ বছর বয়স পর্যন্তঃ অর্ধেক (½) থেকে ১টি বড়ি ৬ ঘণ্টা পরপর দিনে ৪ বার। জ্বর বা ব্যাথা বেশি হলে ৪ ঘণ্টা পরপর দিনে ৬ বার।
★ প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্যঃ ১ টি বা ২ টি বড়ি ৬ ঘণ্টা পরপর দিনে ৪ বার। জ্বর বা ব্যথা বেশি হলে ৪ ঘণ্টা পরপর দিনে ৬ বার।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) গর্ভাবস্থায় না খাওয়া ভালো। (২) কিডনি কার্যকর হলে। (৩) লিভার বা যকৃৎ এর কোন রোগ হলে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া। (২) ক্ষুধামন্দা। (৩) গলা বুক জ্বালা ও টক ঢেকুর ওঠা। (৪) পেপটিক আলসার থাকলে পেট ব্যথা সহ অন্যান্য লক্ষণ বেড়ে যাওয়া।

সাবধানতাঃ

(১) খাওয়ার পরে অর্থাৎ ভরা পেটে খেতে হবে। (২) জ্বর ১০০ ডিগ্রী ফারেনহাইট এর বেশি না হলে ঔষধ না খাওয়া ভালো। (৩) পেপটিক আলসার থাকলে সাথে এন্টাসিড বড়ি খেতে হবে।

মন্তব্যঃ

এন্টিবায়োটিক এর ক্ষেত্রে যেমন খুব নিয়ম মেনে চলতে হয় এক্ষেত্রে তেমনটি নয় সমস্যা কমে গেলে এটির ডোজ কমানো যায় বা বন্ধ করে দেওয়া যায়।

২১. প্যারাসিটামল সাসপেনশন

Paracetamol Suspension (120 mg / 5 ml) 60 ml ( প্যারাসিটামল সাসপেনশন, ১২০ মিলিগ্রাম / ৫ মিলিলিটার। ঔষধের পরিমান ৬০ মিলিলিটার)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) জ্বর (২) যেকোনো ধরনের স্বল্প থেকে মাঝারি ব্যথা। যেমন- মাথাব্যথা, কানে ব্যথা, শরীর ব্যথা, দাঁত ব্যথা ইত্যাদি।

সেবন মাত্রাঃ

শিশুর বয়স ১ বছরের কম হলে প্যারাসিটামল বড়ি না খাইয়ে সাসপেনশন খাওয়ানো উত্তম। খালি পেটে খাওয়ানো যাবে না।
★ ৩ থেকে ৬ মাস বয়স পর্যন্তঃ আধা (½) চা-চামচ ৬ ঘন্টা পর পর বা দিনে ৪ বার। জ্বর বা ব্যথা বেশি হলে ৪ ঘণ্টা পরপর বা দিনে ৬ বার।
★ ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্তঃ ১ চা-চামচ ৬ ঘন্টা পর পর বা দিনে ৪ বার। জ্বর বা ব্যথা বেশি হলে ৪ ঘণ্টা পরপর বা দিনে ৬ বার।
★ ১ বছর থেকে ৬ বছর পর্যন্তঃ ২ চা-চামচ ৬ ঘন্টা পর পর বা দিনে ৪ বার। জ্বর বা ব্যথা বেশি হলে ৪ ঘণ্টা পরপর বা দিনে ৬ বার।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) কিডনি কার্যকর হলে। (২) লিভার বা যকৃৎ এর কোন রোগ হলে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) খালি পেটে খাওয়ালে পেটে ব্যথা হতে পারে।

সাবধানতাঃ

(১) খাওয়ার পরে অর্থাৎ ভরা পেটে খেতে হবে। (২) জ্বর ১০০ ডিগ্রী ফারেনহাইট এর বেশি না হলে ঔষধ না খাওয়াই ভালো।

মন্তব্যঃ

এন্টিবায়োটিক এর ক্ষেত্রে যেমন খুব নিয়ম মেনে চলতে হয় এক্ষেত্রে তেমনটি নয় সমস্যা কমে গেলে এটির ডোজ কমানো যায় বা বন্ধ করে দেওয়া যায়।

২২. পেনিসিলিন-ভি বড়ি

Penicillin-V Tablet, 250 mg
(পেনিসিলিন-ভি বড়ি, ২৫০ মিলিগ্রাম)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ বা প্রদাহ বা ইনফেকশন। (১) শ্বাসতন্ত্র (যেমন-নিউমোনিয়া) (২) গলা (৩) টনসিল (যেমন-টনসিলাইটিস) (৪) ত্বক। এ ছাড়াও (৫) বাতজ্বর।

সেবন মাত্রাঃ

★ ১ বছর থেকে ৫ বছর বয়স পর্যন্তঃ অর্ধেক (½) বড়ি ৬ ঘন্টা পর পর বা দিনে ৪ বার।
★ ৫ বছর থেকে ১২ বছর বয়স পর্যন্তঃ ১ টি বড়ি ৬ ঘন্টা পর পর বা দিনে ৪ বার।
★ প্রাপ্তবয়স্ক রোগীর ক্ষেত্রেঃ ১ টি বা ২ টি বড়ি ৬ ঘন্টা পর পর বা দিনে ৪ বার। ঔষধটি খালি পেটে সেবন করা ভালো।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) হাইপারসেনসেটিভিটি বা সংবেদনশীলতা।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া। (২) পাকস্থলীর অস্বাচ্ছন্দ্য। (৩) ডায়রিয়া (৪) এনার্জি যেমন, ত্বকে ফুসকুড়ি, লালচে বর্ণ ধারণ, চুলকানি। (৫) মাথাধরা।

সাবধানতাঃ

(১) এটি একটি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ কোনভাবেই খাবার যে নিয়ম তার ব্যতিক্রম করা যাবে না। যে কয়দিন যেভাবে খেতে বলা হয়েছে সে কয়দিন সেভাবেই খেতে হবে।
(২) রোগীকে জিজ্ঞাসা করতে হবে এই ধরনের কোন ঔষধ খাবার কারণে পূর্বে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়েছিল কিনা। ওষুধের কারণে পাশ্ব-প্রতিক্রিয়া হলে এটি সেবন করা যাবে না।
(৩) ঔষধের মেয়াদ ঠিক আছে কিনা তা দেখে নিতে হবে।

মন্তব্যঃ

ঔষধটি বেশিদিন ব্যবহার প্রয়োজন হতে পারে, তবে সেবাদানকারী একবারে সর্বোচ্চ ৫ দিনের জন্য দিতে পারেন।

২৩. সালব্যুটামল বড়ি

Salbutamol Tablet, 4 mg
(সালব্যুটামল বড়ি, ৪ মি.গ্রা)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি বা এ্যাজমা। (২) নিউমোনিয়া ও অন্যান্য ফুসফুসের প্রদাহ যেমন- ব্রংকিওলাইটিস।

সেবন মাত্রাঃ

★ ২ বছর থেকে ১২ বছর বয়স পর্যন্তঃ অর্ধেক (½) বড়ি ৮ ঘন্টা পর পর বা দিনে ৩ বার।- ৫ দিন সেব্য।
★ প্রাপ্তবয়স্ক রোগীর ক্ষেত্রেঃ ১ টি বড়ি ৮ ঘন্টা পর পর বা দিনে ৩ বার – ৫ দিন সেব্য।
★ ও প্রয়োজন হলে ঔষধটি ৬ ঘন্টা পর পর বা দিনে ৪ বার খাওয়া যায়।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) দ্রুত হৃদস্পন্দন (বুক ধড়ফড়ানি) (২) অস্থিরতা (৩) হাত পা কাঁপা (৪) হৃদরোগ।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) দ্রুত হৃদস্পন্দন (বুক ধড়ফড়ানি) (২) অস্থিরতা (৩) হাত পা কাঁপা (৪) মাথাধরা।

সাবধানতাঃ

রোগীর শ্বাসকষ্ট বেশি হলে দ্রুত রেফার করে দিতে হবে।

মন্তব্যঃ

শ্বাসকষ্ট নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ঔষধটি দিবেন না।

২৪. সালব্যুটামল সিরাপ

Salbutamol Syrup, (2 mg/5 ml) – 100 ml
(সালব্যুটামল সিরাপ, ২ মি.গ্রা/৫ মিলি – ১০০ মিলি)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি বা এ্যাজমা। (২) নিউমোনিয়া এবং অন্যান্য ফুসফুসের প্রদাহ বা ইনফেকশন যেমন- ব্রংকিউলাইটিস।

সেবন মাত্রাঃ

★ ২ মাস থেকে ৬ মাস বয়স পর্যন্তঃ আধা (½) চা চামচ ৬ থেকে ৮ ঘন্টা পর পর বা দিনে ৩ বার।- ৫ দিন সেব্য।
★ ৬ মাস থেকে ১ বছর বয়স পর্যন্তঃ ১ চা চামচ ৬ থেকে ৮ ঘন্টা পর পর বা দিনে ৩ বার।- ৫ দিন সেব্য।
★ ১ বছর থেকে ৬ বছর বয়স পর্যন্তঃ ১ থেকে দেড় চা চামচ ৮ ঘন্টা পর পর বা দিনে ৩ বার।- ৫ দিন সেব্য।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) দ্রুত হৃদস্পন্দন (বুক ধড়ফড়ানি) (২) অস্থিরতা (৩) হাত পা কাঁপা।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) দ্রুত হৃদস্পন্দন (বুক ধড়ফড়ানি) (২) অস্থিরতা (৩) হাত পা কাঁপা।

সাবধানতাঃ

রোগীর শ্বাসকষ্ট বেশি হলে দ্রুত রেফার করে দিতে হবে।

মন্তব্যঃ

শ্বাসকষ্ট নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ঔষধটি দিবেন না।

২৫. ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল

Vitamin A Capsule (2 Lac I.U)
(ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল, ২ লক্ষ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) রাতকানা (২) ডায়রিয়া পরবর্তী সময় (৩) হাম পরবর্তী সময় (৪) নিউমোনিয়া পরবর্তী সময় (৫) শিশুর অপুষ্টি (৬) প্রসবোত্তর মা (প্রসবের ৪২ দিনের মধ্যে)

সেবন মাত্রাঃ

★ রাতকানা রোগের ক্ষেত্রেঃ ১ম দিন ১ টি, ২য় দিন ১ টি এবং ১৪ তম দিন ১ টি অর্থাৎ মোট ৩ টি ক্যাপসুল।
★ অন্যান্য ক্ষেত্রেঃ ডায়রিয়া, হাম ও নিউমোনিয়া পরবর্তী সময়ে প্রতিবারে ১ টি ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে।
★ অপুষ্টিতে ভোগা শিশুকে ১ টি ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। (শিশুর বয়স ২ বছরের মধ্যে হলে ক্যাপসুলটির মুখ কেটে ৪ ফোঁটা খাওয়াতে হবে। ১ টি ক্যাপসুলে থাকে ৮ ফোঁটা এবং প্রতি ফোঁটায় থাকে ২৫ হাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট) ২ বছর থেকে ৫ বছরের মধ্যে হলে ১ টি ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে।
★ প্রসবোত্তর মাকে (প্রসবের ৪২ দিনের মধ্যে) ১ টি ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

গর্ভকালীন।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

নির্দেশনা অনুসারে সঠিক মাত্রায় ব্যবহারে তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

সাবধানতাঃ

খেয়াল রাখতে হবে যেন মাত্রা বেশি না হয়।

মন্তব্যঃ

রাতকানা রোধে ভিটামিন ‘এ’ এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার ব্যাপারে সতর্কতা অবশ্যক।

২৬. ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স বড়ি

Vitamin-B-Complex Tablet (ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স বড়ি)
ঔষধটিতে আছে, ভিটামিন বি-১ বা থায়ামিন, ৫ মিগ্রা + ভিটামিন বি-২ বা রিবোফ্যাভিন, ২ মিগ্রা + ভিটামিন বি-৩ বা নিকোটিনামাইড, ২ মিগ্রা + ভিটামিন বি-৬ বা পাইরিডক্সিন, ২ মিগ্রা।

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) মুখে ও জিহ্বায় ঘা বা ক্ষত (২) ভিটামিন বি এর অভাবজনিত রোগ যেমন বেরি বেরি (৩) গর্ভাবস্থায় দীর্ঘদিন এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করা রোগী। (৪) শরীর দুর্বল লাগলে।

সেবন মাত্রাঃ

১ টি বড়ি ৮ ঘণ্টা অন্তর দিনে ৩ বার। খাবার পরে সেবন করা ভালো।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) ডাইরিয়া।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।

সাবধানতাঃ

তেমন কোন সাবধানতার দরকার নেই। খাওয়ার আগে বা পরে খাওয়া যায়, তবে খাওয়ার পরে সেবন করা ভালো।

মন্তব্যঃ

প্রসাবের রং হলুদ হতে পারে। এতে ভয় পাবার কিছু নেই। ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিলে এটি ঠিক হয়ে যায়।

২৭. জিস্ক ডিসপারসেবল বড়ি

Zinc Dispersable Tablet, 20 mg
(জিস্ক ডিসপারসেবল বড়ি, ২০ মিলিগ্রাম)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) অপর্যাপ্ত খাবার অথবা বদহজম থেকে শরীরে জিংক এর অভাব হলে। (২) শরীরের বৃদ্ধি ব্যাহত হলে অর্থাৎ শিশু, কিশোর-কিশোরীরা ঠিকমতো বেড়ে না উঠলে। (৩) অরুচি। (৪) চুল পড়া (৫) চামড়ার প্রদাহ বা ইনফেকশন। (৬) ডায়রিয়া চলাকালীন এবং পরে (৭) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে।

সেবন মাত্রাঃ

★ শিশু যাদের ওজন ১০ কেজির কমঃ ১ টি বড়ি প্রতিদিন ১ বার করে – ১০ দিন সেব্য।
★ শিশু যাদের ওজন ১০ থেকে ৩০ কেজিঃ ১ টি বড়ি প্রতিদিন ১ থেকে ২ বার করে – ১০ দিন সেব্য।
★ প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশু যাদের ওজন ৩০ কেজি বা তার বেশিঃ ১ টি বড়ি প্রতিদিন ১ থেকে ৩ বার করে – ১০ দিন সেব্য।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

(১) জিংকে অতি সংবেদনশীলতা।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

(১) বমি বমি ভাব বা বমি (২) ক্ষুধামন্দা (৩) পাকস্থলীতে অস্বস্তি/ব্যথা (৪) মাথা ব্যথা।

সাবধানতাঃ

জিংক বড়ি দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যাবে না। খাবার পরে খাওয়া ভালো।

মন্তব্যঃ

নিয়ম মেনে খেতে হবে।

জন্ম নিয়ন্ত্রণ সামগ্রী

২৮. Comdom (কনডম)


যে জন্য ব্যবহার করতে হবেঃ

এটি পুরুষদের জন্য একটি সহজ, নিরাপদ ও কার্যকর অস্থায়ী জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি।

ব্যবহার বিধিঃ

কনডমের প্যাকেটের গায়ের লেখা ও ছবি অনু্যায়ী কমডম ব্যবহার করতে হবে।

যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ

কনডমের প্যাকেটে যদি ছিদ্র থাকে বা খোলার সময় যদি কনডমটি ছিড়ে যায়।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

নিয়মমত ব্যবহার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।

সাবধানতাঃ

শিশুদের নাগালের বাইরে শুস্ক স্থানে রাখতে হবে

মন্তব্যঃ

ব্যবহারের পূর্বে মেয়াদ উর্ত্তীণের তারিখ দেখে নিতে হবে।

২৯. Contraceptive Pill (কন্ট্রাসেপটিভ পিল বা গর্ভনিরোধক খাওয়ার বড়ি)



যে জন্য ব্যবহার করতে হবেঃ

(১) গর্ভনিরোধের জন্য। এটি সাধারণ মানুষের কাছে খাবার বড়ি হিসাবে পরিচিত।

খাবার নিয়মঃ

মাসিকের ১ম দিন থেকে ২১ তম দিন পর্যন্ত সাদাবড়ি। পরবর্তী ৭ দিন অর্থাৎ ২২ তম দিন থেকে ২৮ তম দিন পর্যন্ত লালবড়ি (আয়রন বড়ি) এবং পুনরায় ২৯ তম দিন থেকে নতুন করে সাদাবড়ি খাওয়া শুরু করতে হবে (আগের নিয়মানুযায়ী)। লালবড়ি বা আয়রন বড়ির সাথে মাসিকের কোনো সম্পর্ক নাই, এটি রক্ত স্বল্পতা পুরণে সাহায্য করে।

যে ক্ষেত্রে খাওয়া করা যাবে নাঃ

(১) গর্ভাবস্থায় (২) উচ্চ রক্ত চাপ (৩) হৃদ রোগ (৪) ডায়বেটিস (৫) জরায়ুর মুখ ও স্তনের ক্যান্সার। (৬) জন্ডিস বা পূর্বে জন্ডিস হয়ে থাকলে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, দীর্ঘদিন সেবনে ওজন বৃদ্ধি, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি।

সাবধানতাঃ

গর্ভাবস্থায় খাওয়া যাবে না।

মন্তব্যঃ

কেউ বড়ি খেতে ভুলে গেলে সেক্ষেত্রে কর্মীর উচিৎ হবে ভালোভাবে জেনে তারপর পরামর্শ দেওয়া।

৩০. মিসোপ্রোস্টোল

মিসোপ্রোস্টোল (২০০ মাক্রোগ্রামের বড়ি)

যে উপসর্গে বা রোগে ব্যবহার করতে হবেঃ

প্রসব পরবর্তী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ প্রতিরোধ।

সেবনের নিয়মঃ

(১) বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর গর্ভফুল বের হোক বা না হোক ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে ৪০০ মাইক্রোগ্রাম মিসোপ্রোস্টোল (২০০ মাক্রোগ্রামের) ২ টি বড়ি এক সাথে প্রসূতিকে খাওয়াতে হবে।
(২) যদি বাচ্চা ও গর্ভফুল একসাথে প্রসব হয় তাহলেও প্রসাবের ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে ২ টি মিসোপ্রোস্টোল বড়ি একসাথে প্রসূতিকে খাওয়াতে হবে।
(৩) গর্ভে আর বাচ্চা নেই নিশ্চিত হয়ে এবং যমজ বা ততোধিক বাচ্চার ক্ষেত্রে সকল বাচ্চার প্রসাবের পর গর্ভে আর কোনো বাচ্চা নেই নিশ্চিত হয়ে গর্ভফুল বের হোক বা না হোক ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে প্রসূতিকে ২ ট মিসোপ্রোস্টোল বড়ি একসাথে খাওয়াতে হবে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

মিসোপ্রোস্টোল খাওয়ার পরে কারো কারো ক্ষেত্রে সম্ভাব্য যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সাময়িকভাবে হতে পারে তা হলো – জ্বর, হালকা কাঁপুনি, তলপেটে ব্যথা এবং ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলে করণীয়ঃ

★জ্বর হলে – মিসোপ্রোস্টোল বড়ি খাওয়ার পর কখনো কখনো জ্বর হতে পারে এবং তা সাধারণতঃ ৩-৪ ঘন্টা পর্যন্ত থাকতে পারে।
এ সময় পরিষ্কার ভেঁজা কাপড় দিয়ে প্রসূতির গা মুছে দিতে হবে এবং জ্বরের ঔষধ যেমন – প্যারাসিটামল বড়ি ১ টা বা ২ টা খাওয়াতে হবে। তারপরও যদি জ্বর না কমে তাহলে বাড়িতে অপেক্ষা না করে প্রসূতিকে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিতে হবে কাঁপুনি হলে গরম চা দুধ অথবা হালকা গরম পানি খাওয়াতে হবে।
★কাঁপুনি হলে – গরম চা, দুধ অথবা হালকা গরম পানি খাওয়াতে হবে এবং কম্বল, কাঁথা বা চাদর দিয়ে প্রসূতি মাকে ডেকে দিতে হবে।
★তলপেটে ব্যথা হলে – প্যারাসিটামল বড়ি ১ টা বা ২ টা খেতে দিতে হবে।
★ডায়রিয়া হলে – প্রয়োজনমতো খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে।

প্রসাব পরবর্তী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বোঝার উপায়ঃ

★মাঝারি ধরনের রক্তক্ষরণ অনেকক্ষণ ধরে চলতে থাকে এবং রক্তে একটা পেটিকোট সম্পূর্ণ ভিজে যায়।
★সন্তান প্রসবের পর যদি জমাট রক্তক্ষরণ হয় এবং ঐ জমাট রক্তের পরিমাণ এমন হয় যে, তা দুই হাতের একত্রিত তালু (আঁজলা) ভরে যায়।

প্রসব পরবর্তী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণসমূহঃ

বিভিন্ন কারণে একজন মহিলার প্রসব-পরবর্তী অতিরক্ত রক্তক্ষরণ হতে পারে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সন্তান প্রসবের পর যদি-
★জরায়ু শিথিল থাকে অর্থাৎ জরায়ু সঠিক ভাবে সংকুচিত তহে না পারে (শতকরা ৬০-৭০ ভাগ রক্তক্ষরণ এ কারণে ঘটে থাকে)।
★গর্ভফুল বা এর অংশ জরায়ুর ভিতর রয়ে যায়।
★জরায়ু সার্ভিক্স, যৌনিপথ বা পেরিনিয়াম ছিড়ে যায় বা ক্ষত হয়।
★জরায়ু ফেটে যায়।
★রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা থাকে বা হয়।

প্রয়োজনীয় তথ্যঃ

★সন্তান প্রসবের পর যৌনিপথে প্রসাবের সাথে ৫০০ মিলিলিটার বা তার অধিক রক্তক্ষরণ হলে তাকে প্রসব-পরবর্তী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বলে।
★সন্তান প্রসবের পর যোনি পথে প্রসাবের সাথে ১০০০ মিলিলিটার এর বেশি রক্তক্ষরণ হলে তাকে প্রসব-পরবর্তী মারাত্মক রক্তক্ষরণ বলে।
★প্রসব পরবর্তী সময়ে যে কোন পরিমাণ রক্তক্ষরণে যদি মহিলার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে তবে তাকেও প্রসব পরবর্তী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বলা যাবে।
★আমাদের দেশে বেশির ভাগ মহিলাই রক্তস্বল্পতায় ভোগে এবং এদের অনেকেই আবার মারাত্মক রক্তস্বল্পতায় আক্রান্ত।
★মারাত্মক রক্তস্বল্পতায় আক্রান্ত মহিলাদের ক্ষেত্রে ২০০-৩০০ মিলিলিটার এর মত অল্প রক্তক্ষরণ ও মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সেজন্য রক্তস্বল্পতায় আক্রান্ত মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রসাবের আগে ও পরে সকল অবস্থাতেই অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
★পোশাক পরবর্তী অতিরক্ত রক্তক্ষরণ হলে একজন মায়ের খুব দ্রুত (মাত্র ২ ঘণ্টার মধ্যে) মৃত্যু হতে পারে। তাই যদি প্রসাবের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে থাকে তাহলে বিলম্ব না করে যত দ্রুত সম্ভব মাকে হাসপাতালে পাঠাতে হবে।
★অনেক সময় জরায়ুর ভিতরে রক্তক্ষরণ হতে থাকে এবং বেশিরভাগ সময়েই রক্তক্ষরণ বাইরে থেকে দেখা যায় না।
★এই রক্তক্ষরণ জমাট বেঁধে হঠাৎ করে যোনিপথে বের হয়, তাই এর ভয়াবহতা অনেক বেশি।
★পেটে বাচ্চা থাকা অবস্থায় এই বড়ি খেলে মা ও সন্তান উভয়ের যে ক্ষতি হতে পারে তা হল-
-অসম্পূর্ণ গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে।
-গর্ভের সন্তান মারা যেতে পারে।
-অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে মা মারা যেতে পারে।
-মায়ের জরায়ু কেটে যেতে পারে।

সতর্কতাঃ

★মিসোপ্রোস্টোল বড়ি খাওয়ানোর পরেও যদি প্রসব পরবর্তী রক্তক্ষরণ হতে থাকে তাহলে প্রসূতিকে আর মিসোপ্রোস্টোল খাওয়ানো যাবে না।
★কোন অবস্থাতেই গর্ভকালীন সময়ে (বাচ্চা প্রসবের পূর্বে) মিসোপ্রোস্টোল বড়ি খাওয়ানো যাবে না।
★অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের অন্যান্য কারণ নির্ণয়ের জন্য এবং তার যথোপযুক্ত ব্যবস্থাপনার জন্য প্রসূতিকে যত দ্রুত সম্ভব জরুরী প্রসূতি সেবা দেওয়া হয় এমন হাসপাতালে পাঠাতে হবে।
★★ভুলক্রমে বাচ্চা প্রসবের আগে অথবা জমজ বা ততোধিক বাচ্চার ক্ষেত্রে সকল প্রসাবের আগেই যদি মিসোপ্রোস্টোল বড়ি খেয়ে ফেলে তাহলে যা করতে হবেঃ-
-তাকে দ্রুত হাসপাতালে বা নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেখানে জরুরী প্রসূতি সেবা দেওয়া হয় সেখানে পাঠাতে হবে।
-গর্ভবতী অবস্থায় মহিলা যাতে ভুল করে বা ইচ্ছাকৃতভাবে মিসোপ্রোস্টোল বড়ি খেয়ে না ফেলে সেজন্য গর্ভ সময় ৩২ সপ্তাহ বা ৮ মাস পার হওয়ার পরই কেবল গর্ভবতী মহিলার কাছে মিসোপ্রোস্টোল বড়ি বিতরণ করতে হবে।
-কখন কিভাবে মিসোপ্রোস্টোল বড়ি খেতে হবে এবং গর্ভবতী অবস্থায় মিসোপ্রোস্টোল বড়ি খেলে কি ধরনের সমস্যা হতে পারে তা গর্ভবতী মহিলাকে বিস্তারিত জানাতে হবে।

 

বর্তমান কমিউনিটি ক্লিনিকে ২৭ প্রকার ঔষধ দেওয়া হয়। ঔষধের পরিমান ও কয় বক্স আসে তা দেওয়া হল।
ক্রঃ ঔষধের নাম পরিমান প্যাক
ট্যাবলেট এন্টাসিড ৬৫০ মিলি গ্রাম ৩,০০০ ৩ কার্টুন
ট্যাবলেট প্যারাসিটামল ৫০০ মিলি গ্রাম ৩,০০০ ৬ বক্স
ট্যাবলেট কোরামফেনিরামিন ৪ মিলি গ্রাম ১,৫০০ ৩ বক্স
ট্যাবলেট মেট্রোনিডাজল ৪০০ মিলি গ্রাম ৭৫০ ৩ বক্স
ট্যাবলেট ফিরাস ফিউমারেট এন্ড ফলিক এসিড ৩,০০০ ৩ বক্স
ট্যাবলেট ক্যালসিয়াম ল্যাকটেট ৩০০ মিলি গ্রাম ১,৫০০ ৩ বক্স
ট্যাবলেট ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ৩,০০০ ৬ বক্স
ট্যাবলেট এ্যালবেন্ডাজল ৪০০ মিলি গ্রাম ১২০ ১ বক্স
ট্যাবলেট জিংক ডিসপারসিবল ২০ মিলি গ্রাম ৫০০ ১ বক্স
১০ ট্যাবলেট সালবিটামল ২ মিলি গ্রাম ৫০০ ১ বক্স
১১ ট্যাবলেট কো-ট্রাইমোক্সাজল ১২০ মিলি গ্রাম ৫০০ ১ বক্স
১২ ট্যাবলেট কো-ট্রাইমোক্সাজল ৯৬০ মিলি গ্রাম ৫০০ ১ বক্স
১৩ ট্যাবলেট পেনিসিলিন ভি ২৫০ মিলি গ্রাম ১০০ ১ বক্স
১৪ ট্যাবলেট হাইওসিন বিউটাইল ব্রমাইড ১০ মিলি গ্রাম ৫০ ১ বক্স
১৫ ক্যাপসুল এ্যামোক্সাসিলিন ২৫০ মিলি গ্রাম ৫০০ ১ বক্স
১৬ ক্যাপসুল ভিটামিন এ ২,০০,০০০ আই ইউ ২০ ১ বক্স
১৭ সিরাপ এ্যামোক্সাসিলিন ড্রাই ১০০ মিঃ লিঃ ১২ ১ কার্টুন
১৮ সিরাপ প্যারাসিটামল ৬০ মিঃ লিঃ ৬০ ২ কার্টুন
১৯ সিরাপ কোরামফেনিরামিন ৬০ মিঃ লিঃ ২৪ ১ কার্টুন
২০ সিরাপ সালবিটামল ৬০ মিঃ লিঃ ২৪ ১ কার্টুন
২১ সিরাপ এ্যামোক্সাসিলিন পেঃ ড্রাপ ১৫ মিঃ লিঃ ১০ ১ কার্টুন
২২ বেনজাইল বেনজোয়েট অ্যাপ্লিকেশন ১০০ মিঃ লিঃ ১ কার্টুন
২৩ কোরাম ফেনিকল আই ড্রপ ০.৫%, ১০ মিঃ লিঃ ২৪ ২ বক্স
২৪ জেনসন ভায়োলেট ২%, ১০ মিঃ লিঃ ১০ ১ বক্স
২৫ বেনজাইল এন্ড সেলিসাইলিক এসিড ১ কেজি ১ টা
২৬ নিউমাইসিন অয়েন্টমেন্ট ১০ গ্রাম ১০ ১ বক্স
২৭ ও আর এস ৪৪০ ২ কার্টুন
২ মাসে ঔষধের পরিমান। ২ মাসের এক সাথে আসে।
এমএইচভির কন্ঠস্বর
www.mhvbd.com
জাকিরুল আলম
01711-858123

|ডাউনলোড pdf|

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *