কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্টা দিবস- ২০২২

এমএইচভির কন্ঠস্বর

আজ কমিউনিটি ক্লিনিকের ২২ তম প্রতিষ্টা দিবস।
জাতির জনকের স্বপ্ন সোনার বাংলা। আর এই সোনার বাংলার প্রতিটি ঘরে স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দেওয়ার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিষ্টা করেন কমিউনিটি ক্লিনিক। আজ সেই কমিউনিটি ক্লিনিকের ২২ তম প্রতিষ্টা দিবস। নিম্নে কমিউনিটি ক্লিনিক সম্পর্কে কিছু আলোচনা করা হল।

একনজরে কমিউনিটি ক্লিনিক
ভূমিকাঃ
কমিউনিটি ক্লিনিক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মানস সন্তান এবং বর্তমান সরকারের সাফল্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত যা দেশে-বিদেশে নন্দিত। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত গ্রামীণ জনগণ নিকটস্থ কমিউনিটি ক্লিনিক হতে সমন্বিত স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও পুষ্টি সেবা পাচ্ছেন। এটি জনগণ ও সরকারের যৌথ প্রয়াসে বাস্তবায়িত একটি কার্যক্রম। স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ১৯৯৮ সাল হতে ইস্যূ ভিত্তিক কার্যক্রমের পরিবর্তে সেক্টর কর্মসূচি চালু করে। তৃতীয় স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা ও সৃষ্টি উন্নয়ন সেক্টর কর্মসূচি (HPNSDP)-এর আওতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরাধীন কেবলমাত্র কমিউনিটি ক্লিনিককেন্দ্রিক “কমিউনিটি বেইজড হেলথ্ কেয়ার” শীর্ষক একটি অপারেশনাল প্লান (ওপি)- এর কার্যক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয় যার মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল কমিউনিটি ক্লিনিককে স্বাস্থ্যসেবার মূলধারায় সম্পৃক্ত করা। HPNSDP-এর বাস্তবায়নকাল ছিল জুলাই, ২০১১ থেকে ডিসেম্বর, ২০১৬ পর্যন্ত। এরই ধারাবাহিকতায় ৪র্থ এইচপিএনএসপি-এর আওতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে আরও বৃহত্তর পরিসরে কমিউনিটি ক্লিনিকের সকল কর্মকাণ্ড ও প্রাক্তন ইএসডি-এর কার্যক্রমের সকল কমিউনিটি বেইজড সমন্বয়ে হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) ওপির বাস্তবায়ন চলছে। এটি বাংলাদেশের সকল উপজেলার জনগণের স্বাস্থ্য উন্নয়নসহ শহর ও উপজাতীয় জনগণের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। সিবিএইচসি সার্বিকভাবে উপজেলা স্বাস্থ্যপদ্ধতি, নগর এবং ক্ষুদ্র ও নৃ-গোষ্ঠীর জনগণের স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য সকল সহযোগিতা প্রদান করছে।

উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিঃ
কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণঃ
• সারাদেশে মোট ১৩৬৩৬ টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।
• jiCA-এর অর্থায়নে ৪০ টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণাধীন আছে।
• PPD (ভারত)-এর অর্থায়নে ৩৬ টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ কাজ চলমান আছে।
• মোট ১১৭৮ নতুন কমিউনিটি ক্লিনিক ৪র্থ সেক্টর কর্মসূচির আওতায় PFD অপারেশনাল প্লানের মাধ্যমে নির্মিত হবে।

কমিউনিটি ক্লিনিক চালুকরণঃ বর্তমানে সারাদেশে মোট ১৩৫০০ টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে। এ সংখ্যা নির্মাণসাপেক্ষে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনবল নিয়োগ ঃ বর্তমানে প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে ১ জন করে মোট ১২৮৩৭ জন সিএইচসিপি নিয়োগান্তে কর্মরত আছেন এবং ১০৫৬ টি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন আছে যা খুব শীঘ্রই সম্পন্ন হবে। ঔষধ সরবরাহ ঃ কমিউনিটি ক্লিনিকে মোট ২৭ প্রকার ঔষধ এবং ৩ প্রকার পরিবার পরিকল্পনা সামগ্রী সরবরাহ করা হয়। চালু প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে গড়ে প্রতিবছর প্রায় ১ লক্ষ ১১ হাজার টাকার প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহ করা হয়।

প্রশিক্ষণঃ

সিএইচসিপি প্রশিক্ষণঃ
নিয়োগকৃত সকল সিএইচসিপিদের ৩ মাস ব্যাপী মৌলিক প্রশিক্ষণ এবং পরবর্তীতে ৭ দিনব্যাপী পুনঃপ্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাভাবিক প্রসব সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এপর্যন্ত ১৯৩৫ জন মহিলা সিএইচসিপিকে Community Skilled Birth Attendant (CSBA) প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অপারেশনাল প্লান ও সহযোগী সংস্থা কর্তৃক বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

কমিউনিটি গ্রুপ প্রশিক্ষণঃ
এ পর্যন্ত ১২৫৫০ টি কমিউনিটি গ্রুপের মোট ২,১৩,৩৫০ জন সদস্যকে কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনায় তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য বিষয়ে ২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ প্রশিক্ষণঃ ৩৭৫০০ টি কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপের মোট ৬,৩৭,৫০০ জন সদস্যকে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনায় কমিউনিটি গ্রুপকে সহযোগিতা ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ে তাদের ভূমিকা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি প্রশিক্ষণঃ ৪০৯ টি উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের কমিউনিটি ক্লিনিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

জনগণের সম্পৃক্ততাঃ
কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রমে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণের নিমিত্ত সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের নেতৃত্বে বিভিন্ন শ্রেণী/পেশার প্রতিনিধির সমন্বয়ে ১৩-১৭ সদস্য বিশিষ্ট ১ টি কমিউনিটি গ্রুপ। তৃতীয়াংশ গঠন করা হয়েছে এবং এর মধ্যে এক মহিলা। এ ছাড়া কমিউনিটি গ্রুপকে সহযোগিতার জন্য প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে ১৩-১৭ সদস্য বিশিষ্ট ৩ টি কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ গঠন করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইউনিয়নস্থ সকল কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। উল্লেখ্য যে, এ সকল গ্রুপ সদস্যবৃন্দ কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনা ও উন্নয়নে সহযোগিতা করছেন এবং একই সাথে গ্রামীণ জনগণকে কমিউনিটি ক্লিনিক হতে সেবা গ্রহণে উদ্বুদ্ধকরণসহ সার্বিকভাবে সম্পৃক্ত করছেন।

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি ক্লিনিককে পুরস্কার প্রদানঃ
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা পর পর ২০১৩ ও ২০১৪ খ্রিঃ জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি ক্লিনিক পুরুস্কার প্রদান করেন। উল্লেখ্য কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবার পরিমাণ ও মান; অবকাঠামো; কমিউনিটি গ্রুপ ও সাপোর্ট গ্রুপ এবং স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের সম্পৃক্ততা; স্বাভাবিক প্রসব; স্থানীয় পর্যায়ে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, বিবেচনায় তহবিল সংগ্রহ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি ক্লিনিক নির্বাচন করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই দুই বছরেই জাতীয় পর্যায়ে বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি ক্লিনিককে পুরস্কার প্রদান করেছেন। সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা : ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত কমিউনিটি ক্লিনিক হতে ৭৫.৭০ কোটির অধিক ভিজিটের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগণ সেবা গ্রহণ করেছেন এবং এর মধ্যে ২.৬২ কোটি অধিক জরুরি ও জটিল রোগীকে উন্নত ব্যবস্থাপনার জন্য উচ্চতর পর্যায়ে রেফার করা হয়েছে।

স্বাভাবিক প্রসবঃ
সারাদেশে ৩০৫৮ টি কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাভাবিক প্রসব পরিচালিত হচ্ছে এবং ২০০৯ হতে এ পর্যন্ত ৫৩৪৫৫ টি স্বাভাবিক প্রসব সম্পন্ন হয়েছে।

“শেখ হাসিনার অবদান কমিউনিটি ক্লিনিক বাঁচায় প্রাণ”

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগ-৭ কমিউনিটি ক্লিনিক ও শিশু বিকাশ কার্যক্রমঃ
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগ সমূহের প্রচারের লক্ষ্যে ৭ টি বিশেষ উদ্যোগের সাথে কমিউনিটি ক্লিনিককে ব্রান্ডিং করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সে পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে “শেখ হাসিনার অবদান, কমিউনিটি ক্লিনিক বাঁচায় প্রাণ” এ শ্লোগানটি কমিউনিটি ক্লিনিকের ব্রান্ডিং কার্যক্রমে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়া কমিউনিটি ক্লিনিককে ব্রান্ডিং- এর লক্ষ্যে বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
যেমনঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি ও শ্লোগান সম্বলিত ব্রান্ডিং- এর লোগো প্রস্তুত, প্রত্যেক কমিউনিটি ক্লিনিকে ব্রান্ডিং-এর লোগো সম্বলিত সাইনবোর্ড স্থাপন, পোস্টার বিতরণ, সকল কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ব্যানার ও বিলবোর্ড স্থাপন, টিভি স্পট প্রচার, দুর্গম এলাকাগুলোতে জনসংযোগ কার্যক্রম লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। এ সকল উদ্যোগের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম আরো জনপ্রিয়তা লাভ করছে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নামে পরিচিতি পাচ্ছে।

প্রচার সংক্রান্ত কার্যক্রমঃ
• মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভয়েস কলঃ কমিউনিটি ক্লিনিক হতে সেবা গ্রহণের আহ্বান সম্বলিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভয়েস কল ২ কোটির অধিক মোবাইল ফোন গ্রাহকের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে।
• ধারাবাহিক টিভি নাটকঃ ১৩ পর্বের একটি ধারাবাহিক টিভি নাটক (আমাদের নিশ্চিন্তপুর) বাংলাদেশ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়েছে এবং একটি বেসরকারী টেলিভিশনে প্রচার করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, নাটকটি প্রচারকালীন দর্শকদের জন্য কুইজ প্রতিযোগিতা এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
• টিভি স্পটঃ কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা সংক্রান্ত টিভি স্পট নির্মিত হয়েছে এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেসরকারি চ্যানেলে সম্প্রচার করা হয়েছে।
• ডকুমেন্টারিঃ ৬ টি অডিও ভিজুয়্যাল ডকুমেন্টারি (১ টি-১০ মিনিট, ৩ টি- ৫ মিনিট, ১ টি- ১৪ মিনিট ও ১ টি- ৭ মিনিটব্যাপী) প্রস্তুত করা হয়েছে এবং দেশ-বিদেশে বিভিন্ন ফোরামে প্রদর্শিত হচ্ছে।

• ফ্লাশ কার্ডঃ প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্যের উপর নির্মিত “সোনালী আলো” ছবি ও বার্তা সম্বলিত ফ্লাশ কার্ড (প্রতিটি সেটে ২৬ টি কার্ড) সরবরাহ করা হয়েছে এবং এগুলি স্বাস্থ্য শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যবহৃত হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে আরো “সোনালী আলো” ছবি ও বার্তা সম্বলিত ফ্লাশ কার্ড সরবরাহ প্রক্রিয়াধীন আছে। এবং
• ওয়েব সাইটঃ কমিউনিটি ক্লিনিকের একটি নিজস্ব ওয়েব সাইট (www.communityclinic.gov.bd) খোলা হয়েছে এটিতে কমিউনিটি ক্লিনিক সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য সন্নিবেশিত করা হয়।

• কমিউনিটি ক্লিনিক দিবসঃ প্রতিবছর ২৬ এপ্রিল কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়।
• জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষ্যে প্রতিবছর কমিউনিটি ক্লিনিকে বিশেষ সেবাসপ্তাহ পালন করা হয়।

হেলথ্ আউটকাম নিরূপণঃ প্রতিটি গ্রামীণ জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে খানাভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা কার্ড এবং ব্যক্তি পর্যায়ে স্বাস্থ্য আইডি কার্ডের নমুনা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

মাল্টিপারপাস হেলথ্ ভলান্টিয়ারঃ গ্রামীণ পর্যায়ে খানা ভিত্তিক মৌলিক ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্যাবলি সংগ্রহ ও হালনাগাদকরণের নিমিত্ত প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিক কর্মএলাকায় ৫-৭ জন করে মাল্টিপারপাস হেলথ্ ভলান্টিয়ার বাছাই কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। ইতিমধ্যে মাল্টিপারপাস হেলথ্ ভলান্টিয়ার পরিচালন সহায়িকা চুড়ান্ত করা হয়েছে।

অনলাইন রিপোর্টিং ও ই-হেলথ্ঃ অনলাইন রিপোর্টিং-এর জন্য প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে ইন্টারনেট সংযোগসহ ল্যাপটপ প্রদান করা হয়েছে এবং তারা অনলাইনে রিপোর্ট করছে। কমিউনিটি ক্লিনিকে আগত জটিল রোগীদের বিশেষজ্ঞ সেবাপ্রাপ্তির লক্ষ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমিউনি- টি ক্লিনিকের মধ্যে ই-হেলথ সেবা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। কমিউনিটি বেইজড হেলথ্ কেয়ার (সিবিএইচসি) অপারেশনাল প্ল্যানের মাধ্যমে উপজেলা স্বাস্থ্য

কমপ্লেক্সের উন্নয়ন কার্যক্রম জোরদারকরণঃ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উপজেলার অত্যাবশ্যকীয় সেবা প্যাকেজ নিশ্চিতকরণের প্রধান কেন্দ্র। এটি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র হতে প্রেরিত রোগীদের ব্যবস্থাপনার রেফারেল সেন্টার। এটি জরুরি ও জটিল রোগীদের চিকিৎসাসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বহিঃবিভাগ, জরুরি বিভাগ, অন্তঃবিভাগসমূহ এবং মাতৃ ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের মাধ্যমে সেবা প্রদান করে।
* এ পর্যন্ত সারাদেশে ৩০০ টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ শয্যা হতে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। এতে উপজেলা পর্যায়ে ৫৭০০ টি শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হবে।
* ৩১ শয্যা হতে ৫০ শয্যায় উন্নীত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অতিরিক্ত ১৯ শয্যা উন্নয়ন খাত হতে রাজস্ব খাতে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে।
* ১২ টি নতুন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণাধীন আছে।
* ৬ টি ট্রমা সেন্টার চালু করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে

যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য সরবরাহঃ
• এক্স-রে মেশিনঃ ২০০৯ হতে এপর্যন্ত ১৪৯ টি এক্স-রে মেশিন সরবরাহ করা হয়েছে এবং আরো ১০০ টি সরবরাহ প্রক্রিয়াধীন আছে।
• অ্যাম্বুলেন্সঃ ২০০৯ হতে এপর্যন্ত ২৯৭ টি অ্যাম্বুল্যান্স সরবরাহ করা হয়েছে এবং আরো ৫০ টি (৪০ টি সাধারণ ও ১০টি নৌ-অ্যাম্বুলেন্স) সরবরাহ প্রক্রিয়াধীন আছে।
• আলট্রা সনোগ্রাম মেশিনঃ ২০০৯ হতে এপর্যন্ত ২৭৫ টি আলট্রা সনোগ্রাম মেশিন সরবরাহ করা হয়েছে এবং আরো ১০০ টি সরবরাহ প্রক্রিয়াধীন আছে।
• ইসিজি মেশিনঃ ২০০৯ হতে এ পর্যন্ত ২৮৪ টি ইসিজি মেশিন সরবরাহ করা হয়েছে এবং আরো ১০০ টি সরবরাহ প্রক্রিয়াধীন আছে।
• ডেন্টাল ইউনিটঃ ২০০৯ হতে এ পর্যন্ত ১৬২ টি ডেন্টাল ইউনিট সরবরাহ করা হয়েছে এবং আরো ৫০ টি সরবরাহ প্রক্রিয়াধীন আছে।

এমএইচভির কন্ঠস্বর
www.mhvbd.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *